প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালেও প্রাতঃভ্রমণে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।সেখানেই হকার নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যর পাল্টা জবাব দেন দিলীপবাবু।
মূলত,ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) দাবি,পুলিশের জন্য নাকি রাস্তায় হকার বসছে।এর ফলে শহরের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।এর পাল্টা এদিন বিজেপি নেতা বলেন, ‘পুলিশের জন্য হকার বসছে, দলের লোকের জন্য কাটমানি হচ্ছে তাহলে সরকার কি করছে?পুলিশ কার হাতে?আপনারা পুলিশকে দিয়ে তোলা তোলাবেন,গরুর গাড়ির থেকে,বালির গাড়ির থেকে, কয়লার গাড়ি থেকে পুলিশ টাকা তুলে দেবে।পুলিশ আপনাদের কথা শুনবে কেন।পুলিশকে কে কন্ট্রোল করে, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পুলিশ আছে। পুলিশকে আপনারা কিছু করতে দেবেন না,হাত-পা বেঁধে দিয়েছেন শুধু নিজের পার্টির কাজ করাবেন।পুলিশ তার নিজের কাজ ভুলে গিয়েছে।পার্টির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব হচ্ছে পুলিশ সেটা গিয়ে ঠেকাচ্ছে।এটা পুলিশের কাজ না কি।পুলিশ তার কাজ করবে,কেন তারাও পয়সা কামাচ্ছে।”
সম্প্রতি ভোটের আগে অস্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।তৃণমূল বিধায়কের সেই মন্তব্যেরও এদিন পাল্টা দেন মেদিনীপুরের সাংসদ।শুধু তাই নয়, নাম না করে একযোগে আক্রমণ শানান প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কেও।তিনি বলেন, ‘ওনাদের একজন সাংসদ কীভাবে বোমা তৈরি করতে হয়, কী কী জিনিস দিতে হবে সেটাও বলে দিচ্ছেন টিভিতে। এরপর এমএলএ মদনবাবু বলে দিচ্ছেন কীভাবে ট্রেনিং দিতে হবে, ট্রিগারে কোথায় হাত দিতে, কাঁধে কোথায় বন্দুক রাখবে, কার পিছনে দেবে। ওদের বড় বড় নেতা যদি এইরকম গ্যাংস্টার হয়, বাকি যাঁরা আছে তাঁরা তো প্রেরণা পাবেই।’