শুক্রবার সাত সকালে শুরু হয় ইডির (ED) ধরপাকড়।সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে মোট ১২ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

সূত্রের খবর,আজ গোয়েন্দাদের দুটি দল সল্টলেকের দু জায়গায় দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায়।অন্য দুটি দল কলকাতার অন্য জায়গায় তল্লাশি চালায়।

জানা যায়,শুক্রবার সকালে ইডির গোয়েন্দাদের একটি দল সল্টলেকের এইচ বি ব্লকে ঢোকে।অমিত আগারওয়াল নামে এক ব্যক্তির খোঁজে এই তল্লাশি বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।এছাড়াও নোনাপুকুর এলাকায় ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের বাড়ি ও তাঁর মোটর পার্টসের অফিসেও হানা দেন তদন্তকারীরা।আর অপরদিকে আরেকটি দল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে ব্যবসায়ীর একটি অফিসে হানা দেয়।সেনার জমি জবরদখলের অভিযোগে এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে।এছাড়াও কলকাতার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডেও তল্লাশি অভিযান চালায়।

মূলত,সূত্র মারফত খবর এই প্রথম নয়, এর আগে আরও ২ বার ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি।প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে সেনাবাহিনীর জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।তবে তল্লাশির কারণ নিয়ে এখনও ইডির তরফে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, গতকাল ইডি অভিযান প্রসঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “এ সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা এবং হাওড়ায় ইডির বৃহত্তর অভিযান হতে চলেছে” আর তার ঠিক পরের দিন তাদের এই অভিযান ঘিরে ইতিমধ্যে একাধিক জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “তল্লাশি অভিযান চলছে। আরো অনেক মানুষকে গ্রেফতার করা হবে। অভিযুক্তদের যদি ধরা না হয়, তাহলে বাংলার মানুষ হতাশ হয়ে পড়বেন।”

 

আরো পড়ুন:Sukanya Mondal:বৃহস্পতিবারও ইডির দপ্তরে হাজিরা দিলেন সুকন্যা!