এবার গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle smuggling case) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আব্দুল কেরিম খানকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সূত্রের খবর, বুধবার সকালে কলকাতায় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে এর আগে কেরিম খানের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।গত অগস্ট মাসে বীরভুম জেলার নানুরের বাসাপাড়ার সাতরা গ্রামে কেরিম খানের বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা।বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আব্দুল কেরিম খানকে তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত এবং আয় ব্যয় সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র বোলপুরের রতন কুঠির অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো মঙ্গলবার সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছে যান ওই তৃণমূল নেতা। সেখানে কয়েক মিনিট থাকার পর বেরিয়ে আসেন তিনি।
সিবিআই সূত্রে খবর, কেরিম খানের আয় ব্যয় সংক্রান্ত সেই সকল নথিপত্র গুলি খতিয়ে দেখার পরেই বেশ কিছু বিষয় সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। সেই বিষয়গুলি স্পষ্ট করার জন্যই বুধবার তলব করা হয়েছে তাকে।
উল্লেখ্য,গরু পাচারের যে বিপুল অঙ্কের টাকা পৌঁছে যেত অনুব্রত মণ্ডলের কাছে তা বিভিন্ন ব্যবসায় লগ্নি করা হতো। এমনটাই দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। একাধিক ব্যবসায় অনুব্রত সেই টাকা লগ্নি করার জন্য সাহায্য নিতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের। সেইরকম ভাবেই এই কেরিম খানের মাধ্যমেও অনুব্রত বিভিন্ন ব্যবসায় টাকা খাটিয়েছিলেন বলে প্রাথমিক কিছু তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই এর হাতে। কোন কোন ব্যবসায় লগ্নি করা হয়েছিল? তাতে কেরিম খান কতটা লাভবান হয়েছিলেন? এই সমস্ত বিষয়গুলি তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।