সোমবার দুপর দেড়টা থেকে সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।সেই বিক্ষোভ রাতভর চলে।মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা করেন চাকরিপ্রার্থীরা।তাঁদের দাবি দু’ বার ইন্টারভিউ দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন তাদের নিয়োগ করা হবে।সে কারণে ফের একবার ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে ইন্টারভিউ দিতে রাজি নন তাঁরা।এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Pal) আন্দোলনকারীদের জানান,আন্দোলনকারীদের দাবি অন্যায্য!নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ করা সম্ভব নয়।প্রার্থীদের ইন্টারভিউ দিতেই হবে।

জানা যায়,মঙ্গলবার এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Pal)।সেখানে তিনি বলেন,”২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা একটা মঞ্চ তৈরি করেছেন।যার মান একতা মঞ্চ।তাঁরা আমার কাছে দাবি সনদ পেশ করেছেন। আন্দোলনকারীরা আমাদের অফিসের মূল গেটের সামনে বসে রয়েছেন।পুলিশের মধ্যস্থতায় তাঁদের চার জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছি।” তিনি আরো বলেন,”১১ হাজারের বেশি কিছু পদে আমরা বিজ্ঞাপন দিয়েছিল।তাতে তাঁরা অংশগ্রহণ করবেন না বলেছেন।মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিতে ২০২০ সালে ১৬ হাজার নতুন পদ তৈরি হয়।২০২১ সালে ১৬ হাজার ৫০০ জনের জন্য ২৯ হাজার ৬৬৫ জন আবেদন করেন।এর মধ্যে ১৩ হাজার ৫৬৪ জনকে নিয়োগ করা হয়।১৬ হাজার ১০১ জন রয়েছেন,যাঁরা টেট উত্তীর্ণ।২০১৭ সালে যাঁরা পাশ করেছেন,তাঁরা টেট উত্তীর্ণ ও তাঁরা চাকরির দাবিদার।আজকে যাঁরা নট ইনক্ল্যুডেট,তাঁরা দু’বার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ সুযোগ পেয়েছে।বাকিরা কিন্তু সুযোগ পাননি।নিয়ম অনুসারে তাঁরা ২০১৪ সালের ও ২০১৭ সালের বয়স অনুসারে আবেদন করতে পারবেন।”

এরপরেই আন্দোলন নিয়ে মতপ্রকাশ করেন গৌতম পাল।তিনি বলেন,”যাঁরা আন্দোলন করছেন,তাঁদের বলছি,-প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আইন মেনে কাজ করবে।আন্দোলনকারীদের বলছি,আপনারা পদ্ধতির মধ্যে আসুন।প্রতিবছর নিয়োগ হলে সবাই চাকরি পাবে।রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এই আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করছে।আমরা বলেছি, ইন্টারভিউ অন ক্যামেরা ভিডিওগ্রাফি হবে।আগে ইন্টারনেটে প্যানেল দিয়ে দেব।সেখানে ক্যাটাগরি অনুসারে তথ্য দেওয়া হবে।”এরপরই আন্দোনলকারীদের দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়ে পর্ষদ সভাপতি বলেন,”আমি বলছি, আগামী দিনে এমন রাস্তায় বসে থাকতে হবে না।আমরা আগামী বছর আরও অনেক পোস্ট পাব,কোনও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীকে বসে থাকতে হবে না।তবে এখন,যাঁরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন,তাঁদের দাবি অন্যায্য।এঁদের সবাইকে বোর্ডের নিয়োগ পদ্ধতিতে আসতে হবে।ইন্টারভিউ দিতে হবে।আর যাঁদের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদের নিয়ে আলোচনা করতে হবে।”

 

আরো পড়ুন:TET : রাত কেটে গেল টেট জটের বিক্ষোভের