দুর্গাপুজোর দশমীর দিন বিসর্জনের সময় হড়পা বানে মৃতদের পরিবারের পাশে আগেই দাঁড়িয়েছিল রাজ্যের তৃণমূলশাসিত সরকার। মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ২ লক্ষ টাকার চেক এবং আহতদের দেওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা।এরপর সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার বিকেলেই সেখান থেকে সোজা চলে যান মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। খতিয়ে দেখেন প্রত্যেকের পরিস্থিতি।

এরপরই মঙ্গলবার মালবাজারের আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিলেন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র।এছাড়াও উদ্ধারকারীদের হাতেও তিনি ১ লক্ষ টাকার চেক,এবং শংসাপত্র তুলে দেন তিনি।এমনকি দেওয়া হয় চাকরির প্রস্তাবও।

মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের পাশে পেয়ে স্বভাবতই খুশি মৃতদের পরিবার। তাঁরা চাকরির নিয়োগপত্র পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেন।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে, যে জল কোথা থেকে এল।কারণ, প্রশাসন বিষয়টি জানত না।ভুটান ও সিকিমের নদী থেকে জল ছাড়ার বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।একই সঙ্গে তিনি জানান,গোটা বিষয়টির মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে।তাই এটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে।তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্থানীয় প্রশাসনকে আসন্ন ছট পুজো,কালীপুজোর বিসর্জন নিয়ে আরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে,মালবাজারের মঙ্গলবারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ৫৩ জন আদিবাসীকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।কলকাতায় রেড রোডে পুজো কার্নিভ্যালের দিন একটি আদিবাসী দল নৃত্য পরিবেশন করতে এসেছিল।সেই দলটির সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাকরির আবেদন জানিয়েছিলেন।এদিন তাঁদের ৫৩ জনও পেয়েছেন নিয়োগপত্র।

 

আরো পড়ুন:Mamata : উত্তরবঙ্গ বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা