বুধবার মিয়ানমারের একটি আদালত ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে (Aung San Suu Kyi) আরও দুটি দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।জানা গিয়েছে মায়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আরও ৬ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।তার বিরুদ্ধে ওঠা ভিন্ন দুটি মামলায় তিন বছর করে মোট ৬ বছর কারাগারের নির্দেশ দিয়েছে সামরিক জুন্টা সরকারের একটি আদালত।অর্থাৎ এরফলে ফলে মায়ানমারের জেলবন্দি নেত্রীর কারাবাসের মোট মেয়াদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বছর।
রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি ঘুষ গ্রহণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।নতুন দণ্ডের অধীনে, তাকে দুটি তিন বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে যা তার বিদ্যমান ২০ বছরের মেয়াদে যোগ হয়েছে।একটি সূত্র জানায়, সু চিকে ‘দুর্নীতির দুটি মামলায় প্রতিটির জন্য তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে’, যেখানে তার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মায়ানমারে সু চি’র নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটিয়ে সামরিক বাহিনী ফের ক্ষমতা দখল করে। সু চি’র বিরুদ্ধে সামরিক কর্তারা নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ তোলে। নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ পদাধিকারীরা সেই থেকে জেলবন্দি। তাঁদের বিচার চলছে সামরিক আদালতে।সামরিক প্রশাসন ক্ষমতা দখলের সময় এক বছরের মধ্যে নির্বাচন করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের নাম গন্ধ নেই এখনও। উল্টে সামরিক শাসনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে, দেশের গণতন্ত্রপন্থি এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চ সু চি-র এই শাস্তির তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, বিচারের নামে প্রহসন চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনা সরকার।
আরো পড়ুন:Dilip Ghosh:ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে রাজ্য সরকারকে ফের সরাসরি কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ!