তৃণমূলকে অস্বস্তি ফেলার শীর্ষে যে দল থাকে,তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিজেপি (BJP) তথা গেরুয়া শিবির।প্রতিদিনই নানারকম কটু বাক্য প্রয়োগ করার পাশাপাশি ভবিষৎবাণীও এই দল নিয়ে করে ফেলে তারা।এবার কি সেই দলরেই পতন ঘটতে চলেছে ডিসেম্বরে?
বিজেপির এক সর্বভারতীয় নেতার কথায় এমনি সিলমোহর পাওয়া গেলো।তিনি বলেন,-“গত এক বছরে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকায় যারপরনাই বিরক্ত অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। যে কারণে সচেতনভাবেই রাজ্য নেতাদের পাঠানো দুর্গাপুজোয় বাংলায় আসার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। অথচ ওই সময় পাশের রাজ্য বিহারে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শোনা যাচ্ছে, ডিসেম্বরে রাজ্য বিজেপির একাধিক তাবড় নেতা পদচ্যুত হতে চলেছেন।যার মধ্যে কয়েকটি নাম রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো।পুরনো ও নতুন কর্মীদের সমন্বয়ের রসায়নে জোর দিতেই এই আমূল রদবদলের চিন্তা।” আর যা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে।জানা যাচ্ছে, দলে ‘সমন্বয় ফর্মুলা’ তৈরি করার দায়িত্ব বিশ্বস্ত কয়েকজন নেতাকে দিয়েছেন অমিত শাহ। সেই ফর্মুলা চূড়ান্ত হলেই রদবদলের ঝড় ধাক্কা দেবে বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরীণ কাঠামোয়। বেকার হতে হবে রাজ্যের বেশ কয়েকজন পদাধিকারীকে।
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘ডিসেম্বরে সাংগঠনিক নির্বাচন হবে। আমাদের রাজ্যেও হতে পারে। সেটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবেন। গত বছর বিধানসভা নির্বাচন ছিল। তাই সাংগঠনিক রদবদল হয়নি। সেটি বকেয়া রয়েছে।’ সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘সাংগঠনিক ক্ষেত্রে নির্বাচন ও রদবদল যা হবে, সবই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবেন।’