বিজয়া দশমীর তিথি পড়ে যাওয়া মানেই দুর্গা পুজোর (Durga Puja) শেষের ঘণ্টা বেজে ওঠা। আবার একটা গোটা বছরের অপেক্ষা। বাঙালি বছরের শুরুতে ক্যালেন্ডার পেলেই সবার আগে খুঁজে দেখে পুজো কবে পড়েছে, আর দশমী আসা মানেই নতুন বছরের ক্যালেন্ডারের অপেক্ষা। পুজোর সেই চারদিনের অপেক্ষা। কিন্তু এই দিন পুজো শেষ হয়ে যায় বলে আনন্দে যে কোনও ঘাটতি থাকে এমনটা নয়।মন খারাপ হয় ঠিকই, তবুও সেটা ভুলতে একাধিক নিয়ম পালন করে মাকে হাসি মুখে বিদায় জানানো হয়।

মা উমা মর্ত্য ছেড়ে পাড়ি আবারও এক বছর আমাদের অপেক্ষা করিয়ে পাড়ি দেন কৈলাসে।দশমীর দিন মৃন্ময়ী মূর্তির বিসর্জন হয় নদী, জলাশয়ে।আর এই রীতি যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, নবমী তিথি থেকেই বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)।

বুধবার সকাল থেকে কলকাতার ১৬টি গঙ্গার ঘাটেই প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি সেরে ফেলা হবে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র।

জানানো হয়েছে, প্রতিটি ঘাটেই ক্রেন থাকবে। ঘাটে উপস্থিত থাকবেকলকাতা পুরসভার স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিনিধিদল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মূলত বাড়ির প্রতিমাগুলিই বিসর্জন হবে বলে মনে করছেন পুরসভার আধিকারিকরা। তাই অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের ওপর চাপ কিছুটা হলেও কম থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

তবে এই বিসর্জন প্রক্রিয়ায় গঙ্গা যাতে কোনওভাবেই দূষিত না হয়, সেদিকেই নজর রাখা হচ্ছে।তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুর্গা প্রতিমাগুলি জলে পড়লেই কাঠামোগুলি ক্রেন দিয়ে তুলে নিতে হবে।

 

আরো পড়ুন:Durga Puja Special Recipe: পূজোয় বানিয়ে ফেলুন মূর্গ দো পেয়াজা