গত ২ বছর জাঁকজমক করে হয়েছিল (BJP) বিজেপির দুর্গাপুজো । প্রথম বছর ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তার পরের বছর পুজো উদ্বোধন করতে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তবে এবারের পুজো জৌলুসহীন।
নিজেই ঢাক বাজিয়ে পুজো উদ্বোধন করেছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এবারে গেরুয়া শিবিরের পুজো হচ্ছে হল ভাড়া করেই। তবে এখানেও উঠে এসেছে অন্তর্দ্বন্দ্ব।
সুকান্ত পক্ষ চেয়েছেন পুজো হোক। এদিকে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির মতে, দলের কাজ নয় পুজো করা।
উল্লেখ্য, পুজো উদ্বোধন করতে আসার কথা ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের। তবে তিনি আসেননি।
এই সবকিছুকেই কটাক্ষা করেছে তৃণমূল । তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, বিজেপি মানে দিল্লির জেঠু ভিত্তিক দল। জেঠুদের দমেই চলে।
হল ভাড়া করে পুজো করতে হচ্ছে। হল ভাড়া নেওয়া হয় বিয়ে বা শ্রাদ্ধে। হল ভাড়া করে পুজো কেউ করে না। এবারে দিল্লি থেকে কেউ আসেননি।
পরে দেখা যাবে, পুজো হচ্ছে দিল্লিতেই। বলেন, আসলে (BJP) বঙ্গ বিজেপির জনভিত্তি নেই। পাড়া, ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
তাই হল ভাড়া করতে হচ্ছে পুজোর জন্য। ‘ট্রেনি সভাপতি’ কটাক্ষ করে তিনি এদিন বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষকে। বলেন, দিলীপবাবু না কি বলেন দলের কাজ নয় পুজো করা।
এরপরে সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আসলে রাজনৈতিক দলের সসস্যরা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে পুজো করেন কিন্তু বিজেপির সেই জনসংযোগ নেই।
গত ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয় এবং মুকুল রায়ের হাত ধরে শুরু হয়েছিল পুজো।
এই প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলেন, যিনি পুজো শুরু করেছিলেন তিনি এখন তৃণমূলে। বুঝিয়ে দিলেন তিনি বাবুলের কথা বলছেন।
পরবর্তীকালে বিজেপির পুজো নিয়েও তৃণমূল শিবির যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছে।