বর্তমানে তৃণমূলের সর্বাঙ্গে দুর্নীতির ঘা দগদগ করতেই বিরোধীদের কাছে চরম কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে।বহুবার সবাই দাবি করেছে এই সরকার বেশিদিনের নয়।তবে এবার এই সরকারের মেয়াদকাল এই বছরের মধ্যেই শেষ!জানালেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।বছর ঘোরার আগেই নাকি বাংলার তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে।এমনকি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলে যেতে পারেন। মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

মঙ্গলবার হুগলিতে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেই কর্মসূচির ফাঁকেই উপস্থিত সাংবাদিকদের সুকান্ত বলেন, ”এটা তো স্পষ্ট যে, একটা সময়ের পর হাতে গোনা কয়েক জন তৃণমূল নেতাই বিশেষ করে রাজ্যের মন্ত্রীরা জেলের বাইরে থাকবেন। বাকিরা থাকবেন জেলের ভিতরে। যদি সব মন্ত্রীরাই জেলে থাকেন। তবে সরকার কী করে চলবে?”এরপরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে সুকান্ত বলেন, ”আমাদের অনুমান ডিসেম্বরের মধ্যেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে। রাজ্যের বেশির ভাগ মন্ত্রী, আমি জানি না মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের মধ্যে থাকবেন কি না! কারণ এমনও হতে পারে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও জেলেই রইলেন। যদি তা হয়, তবে নিশ্চিত ভাবেই এই সরকারের পতন হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এই সরকার আর কে চালাবে!”

এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই, এই প্রসঙ্গে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূলও।দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ”যদি সিবিআই-ইডি দিয়েই সরকার বদল হয়, তবে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এ সব পদে তদন্তকারী সংস্থার লোকেদেরই বসানো হোক না!”

কুণাল আরো বলেন, ”বিজেপিতে দলের মধ্যেই প্রতিযোগিতা চলছে। কেন না রাজ্য বিজেপির নেতারা অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছেন। মিঠুনদা একটা ফিগার। তাঁকে আবার এখানে পাঠানো হয়েছে। কারণ, নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছেন এঁরা অযোগ্য।”

 

আরো পড়ুন:Sukanta Majumder:অনুব্রত যে মাছ বিক্রি করে শিল্পপতি হয়ে গেছেন তা বাংলার মানুষ জানতেন না!কটাক্ষ সুকান্তর