গড়বেতায় সুশান্ত ঘোষের (Sushanto Ghosh) মিছিল নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হল শাসকবিরোধী শিবিরে। একদিকে যখন দীর্ঘ ১১ বছর পর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল আসার পর প্রথমবার এই বিশাল সুবিশাল মিছিল করল সিপিএম (CPM)। মিছিল থেকে একাধিক দাবি তোলা হয়, যার মধ্যে গড়বেতাকে মহাকুমা ঘোষণা করতে হবে। গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি করতে হবে। রেল স্টেশন নিকট রাধানগরে ফ্লাইওভার করতে হবে। সহ ১০০ দিনের কাজের টাকা লুটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এই মিছিল শুরু হয়।
কিন্তু সুশান্ত ঘোষের নেতৃত্বে এই মিছিলকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মিছিল প্রসঙ্গে তৃণমূল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কনভেনার অজিত মাইতি বলেন, মিছিল বিশাল হয়নি। আর সুশান্ত ঘোষ আইনত করতে পারে না এই মিছিল। তার পাশাপাশি অজিত বাবু আরও বলেন, “মিছিলে সিপিএমের সাথে বিজেপির লোক ছিল। মিছিল আমি করব তাতে লোক দেখবেন।” এর পাশাপাশি তিনি বলেন, কঙ্কাল কান্ডের নায়ক কোর্টের নির্দেশ আছে কলকাতা ছাড়া অন্য কোন জায়গায় তিনি যেতে পারবেন না। তা সত্ত্বেও তিনি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই মিছিল করেছেন।
অপরদিকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক এই মিছিল থেকে বলেন, পশ্চিমবাংলায় তৃণমূলের সব নেতা চোর। যাহা তৃণমূল তাহা বিজেপি। তৃণমূলের সব নেতা জেলে যাবে। কিছু গেছে কিছু বাকি আছে। যারা বাকি আছে তারা বিজেপির সাথে সামঞ্জস্য করে বাইরে আছে, তারাও জেলে যাবে। তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দীর্ঘদিন পর সুশান্ত ঘোষের খাস তালুকে সিপিএমের লাল পতাকার এই বিশাল মিছিলকে ঘিরে শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক তরজা। তবে আগামী দিনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফলের উপরে নির্ভর করবে কার জমি কতটা শক্ত।
আরও পড়ুন : Sukanta Majumder:’মমতা সরকারের পতন ডিসেম্বরেই’জানালেন সুকান্ত!পাল্টা দিলেন কুণাল