শনিবার সাতসকালেই হঠাত্‍ তৃণমূল (TMC) দল ছাড়তে চেয়ে ফেসবুকে বার্তা দেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা।তিনি আবার হাওড়া গ্রামীণ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি।এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাওড়ার আর এক বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ও জানিয়ে দিলেন,দল চাইলে তিনিও সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত।সমীর পাঁজার দলের প্রতি হতাশাকে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁকে সমর্থন করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ও।

তৃণমূলের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা এদিন জানান,-“সমীর পাঁজা দলের সম্পদ।তার হতাশা দুঃখজনক।ও অন্ধের মতো দল করে।দলকেও পুরনো কর্মীদের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে।সমীর ছাড়া হাওড়ায় দল অচল বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।”তিনি আরও বলেন,-“আমারও একই অবস্থা,দীর্ঘদিন দল করেছি,আমার নেতৃত্বে দল ক্ষমতায় এসেছে।যতদিন আমি মনে করবো দলে থাকা দরকার বা দল যেদিন মনে করবে আমিও সরে যাবো।”

তবে কি লিখেছিলেন সমীর পাঁজা?শনিবার একেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লিখছিলেন, ”হ্যাঁ আমার এই মহান নেত্রী টা আছে বলেই,আমি আজও তৃণমূল দল ছেড়ে যাইনি।কারণ কত ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে, নানান ইতিহাস এর সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ৩৮ টা বছর মহান নেত্রীর সঙ্গে একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে করতে,এখন বড়ই বেমানান লাগছে নিজেকে।কারণ আজ অবধি মিথ্যা নাটক করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে ভালো সেজে,একটা মেকি লিডার হতে চাইনা আমি। নাহলে কবেই টা টা বাই বাই করে দল ছেড়ে চলে যেতাম আমি।আমার মতো অবিভক্ত যুব কংগ্রেসের আমল থেকে যারা আছে,তারা আদৌ কোনও গুরুত্ব পাচ্ছে কি বর্তমানে…..?? তাই আর কি, আমার যাবার সময় হল,দাও বিদায়!”

আর দুই হেভিওয়েট নেতার এমন মন্তব্যের পরই আবারও শাসক দলকে পড়তে হলো অস্বস্তিতে।কারণ এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।এই ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দল বলেছেন,তৃণমূল নেতাদের সবাইকে চোর বলে ডাকছে,আর সেখানে দাঁড়িয়ে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে।এই সরকার আর বেশিদিনের নয়! খুব তাড়াতাড়ি পড়ে যাবে এই সরকার!

 

আরো পড়ুন: