গরুপাচার মামলায় এবার অনুব্রত (Anubrata) ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পিটকে তলব করল সিবিআই।
আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ মলয় পিট বলে সিবিআই জানতে পেরেছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজের জন্য এত বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন মলয় পিট? কারা টাকা দিয়েছিল? কোন পথে লেনদেন?
বিপুল অর্থ নয়ছয় হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছেন অফিসাররা। ব্যাঙ্ক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য মিলেছে তার উত্তর পেতেই তলব করা হয়েছে।
সিবিআই যে নথি পেয়েছে সেখানে এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিপুল টাকা, সম্পত্তি, প্রভাবশালী যোগসূত্র মিলেছে।
গরু পাচারের তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
কেষ্ট গড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেখান থেকেই এই মলয় পিটের নাম পেয়েছেন সিবিআই অফিসাররা।
বীরভূমে মলয় পিটের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শান্তিনিকেতনে মেডিক্যাল কলেজও তৈরি করেছেন মলয় পিট।
সবটাই তৃণমূল কংগ্রেসের আমলেই হয়েছে। স্বাধীন ট্রাস্ট ও সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান মলয় পিট।
সিবিআই সূত্রে খবর, মলয় পিট যে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করেছেন সেখানে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata) আর্থিক সাহায্য করেছেন।
সেখানে বহু টাকা ঢুকেছে। তাই আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়েও মলয় পিটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।
সিবিআইয়ের হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডল
আগে মলয় পিটের কাছ থেকে দুটি গাড়ি চেয়েছিলেন। ট্রাস্টের দুটি গাড়ি অনুব্রত মণ্ডলকে দিয়েছিলেন মলয়।