গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছেন তৃণমূল নেতার ‘ঘনিষ্ঠ’ রাজীব ভট্টাচার্য।রবিবার বীরভূমের আমোদপুর এলাকায় তৃণমূলের তরফে একটি মিছিল ও পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে এবার হুঙ্কার দিতে শোনা গেল রাজীব ভট্টাচার্যকে।

নাম না করে তাঁর দাবি, অনুব্রতর ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তিনি দিয়েছিলেন ৬৬ লাখ টাকা।তিনি আরো বলেন,বেশ কিছুদিন থেকে আপনারা শুনছেন আমি নাকি গোরু চোর।এনিয়ে দুটো কথা বলতে চাই।আমাকে ৪ বার সিবিআই ডেকেছিল।চারবারই গিয়েছি।আমার কোনও ভয় নেই।আজ পর্যন্ত চুরি করে আমি কিছু করিনি। কারও কাছে ধার করে কারও জন্য কিছু করিনি। রাজনীতিটা আমার নেশা।নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। এর জন্য কার গ্রাত্রদাহ হল তাতে আমার কিছু যায় আসে না।একটা মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে মারা যাচ্ছিল।তাকে আমি আর্থিক সাহায্য করেছি।আমার কাছে টাকা ছিল তাই করেছি।অন্যায় করেছি!যদি অন্যায় থাকে বলুন।আপনাদের বলছে চাই, তৃণমূলে ছিলাম।অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে আগামিদিনেও থাকব।সিবিআই আমাকে আবার ডাকবে।আবার যাব।আমাকে ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল থেকে সরানো যাবে না। তৃণমূলে ছিলাম।সেখানেই থাকব।

তার আরো সংযোজন,অনুব্রত মণ্ডলকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করে রাখার প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলনকে তিনগুণ বাড়াতে হবে।আমি নিজেই একজন সিএ তাই আমার কিছু করতে পারবে না।

উল্লেখ্য,অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমেই রাজীবের খোঁজ পায় সিবিআই। কারণ ২০২০ সালে কলকাতার রাজারহাটে হাসপাতালে অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ছবি মণ্ডল যখন ভর্তি ছিলেন,সেই সময় রাজীব ভট্টাচার্য ওই হাসপাতালকে ৬৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে তদন্তে উঠে আসে।এই টাকা গরু পাচারের ব্যবসার সূত্রে পাওয়া কি না,তা জানাই ছিল সিবিআইয়ের উদ্দেশ্য।

 

আরো পড়ুন:Anubrata Mondal:অনুব্রতর কন্যাকে জেরা করতে ফের সিবিআই হানা দিল অনুব্রতর বাড়িতে!