শুক্রবার সাতসকালেই সিবিআইয়ের দরজায় কড়া নাড়ায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (kunal Ghosh)।আর তাকে আচমকা ঢুকতে দেখেই তৎক্ষণাৎ এগিয়ে এসেছিলেন এদিন সংবাদমাধ্যম।তখন চিটফান্ড মামলায় জামিনে মুক্ত জোড়াফুল শিবিরের নেতা বলেন,দলের কাজে শহর ছড়াতে হবে।তা জানাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে অসময়ে এসেছেন।বলেন, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক শহর ছাড়ার কারন লিখিত আকারেও জানিয়ে এসেছেন।

আর তারপরই আবারও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তিনি।বলেন,-“আমি কোন রাজনৈতিক প্রশ্ন করলে শুভেন্দু অধিকারী সেটা থেকে পালিয়ে যায়। উত্তর দিতে পারে না। তখন বলে আমি জেলে ছিলাম। আমার যুক্তি হচ্ছে, আমি যে জেলে ছিলাম সবাই জানে। এই শুভেন্দুবাবু তোমরা সব সারদার টাকা নিয়েছ, আমার কাঁধে বন্দুক রেখেছ, আমি সেই আইনি লড়াই লড়ছি। আর তুমি সিবিআইয়ের এফআইআর-এ নাম থাকা লোক। জেল এড়াতে তুমি বিজেপিতে গেছো। তুমি যদি বলো জেলে থাকার প্রশ্ন, তাহলে তুমি যে অমিত শাহের পা ছুঁয়ে বিজেপিতে গেলে, তিনি তো খুনের মামলায় জেলে ছিলেন। শুভেন্দু অমিত শাহের জেলটা কি জেল ছিল না, ওটা কি তাজমহল ছিল?”

এছাড়াও নবান্ন অভিযান এবং তার জেরে গ্রেফতার নিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন,-নবান্ন অভিযানের নামে বিজেপি আসলে গুন্ডামি করেছে।উল্টো দিকে, পুলিশকর্মীরা এই ঘটনায় যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দিয়েছেন বলেও মনে করেন তৃণমূল নেতা।তাঁর মতে, মার খাওয়ার পরও যথেষ্ট পরিণতভাবেই ঘটনা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ।

 

আরো পড়ুন:Kunal Ghosh:সেই নেতার মহিলাতে অ্যালার্জি আর পুরুষ দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে!নাম না করেই শুভেন্দু প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কুণাল