এবার রাজ্যেরই এক আইপিএস অফিসারের বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় রাজ্য সরকারের সিআইডি (CID) নামলো তদন্তে।মূলত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি নেই আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরের সম্পত্তির।সম্প্রতি এমনটাই এক তথ্য সামনে আসে।আর এমন দুর্নীতি নজরে আসতেই ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে সিআইডি।তরপরেই শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি।সেই তদন্তের ভিক্তিতে রবিবার সাতসকালেই সল্টলেকের ৩ জায়গায় হানা দেয় সিআইডি।

তবে শুধু আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধরের বাড়ির নয়,পাশাপাশি ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর বাড়িতেও হানা দেয় সিআইডি।এবং তাঁদের অফিসেও তল্লাশি চালায়।জানা যায় আইপিএস দেবাশিস ধরের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরী।এদিকে দেবাশিস ধর ছিলেন ২০১০ সালের আইপিএস।এর আগে বিধাননগর কমিশনারেটে তিনি অ্যাডিশন্যাল সিপি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।পরবর্তীকালে তিনি শীতলকুচির ঘটনার সময়ে তিনি কোচবিহারের পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন।

সিআইডি সূত্রে খবর ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দেবাশিস ধরের সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে আয়ের তুলনায় ৩৭৫ শতাংশ।শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের পর সাসপেন্ড করা হয়েছিল কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে।ওই মামলার তদন্তও করছে সিআইডি।তবে বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছে সিআইডি।এই পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি কীভাবে সম্ভব?সেটাই দেখার জন্য চলছে তদন্ত।

প্রসঙ্গত,সুদীপ্ত নামে ওই ব্যবসায়ীকে দুবার গ্রেফতার করা হয়েছিল।২০১৮ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গৌতম কুণ্ডুকেই ইডি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণা করেছিলেন সুদীপ্ত।গৌতম কুণ্ডু এই অভিযোগ করলে,সেই অভিযোগের ভিক্তিতে গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্তকে।এরপর ২০২০ সালে ইডি তরফ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়,এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কিছু নথি জাল করে কয়েক জন ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে ভুয়ো নোটিস পাঠিয়ে তোলাবাজি করছে।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে সুদীপ্ত রায় চৌধুরীকে আবারও গ্রেফতার করা হয়।তাতেই উঠে আসে সুদীপ্তর ঘনিষ্ঠ এই আইপিএসের নাম।

 

আরো পড়ুন:CID:এনামুল হকের ঘনিষ্ঠের হোটেল সিল করে দিল সিআইডি!