রবিবার একদিকে যেমন মাদক পাচার অভিযোগে বিপুল টাকা সহ মালদহের গাজোলে এক মাছ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে সিআইডি (CID)।ঠিক তেমনি তল্লাশি অভিযানে আরো বড় সাফল্য পেলো সিআইডি।
জানা যায়,রবিবার গরু পাচার মামলায় এবার রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির হাতে গ্রেফতার হল এনামুলের ঘনিষ্ঠ জেনারুল শেখ।মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকা থেকে জেনারুলকে গ্রেফতার করেন সিআইডির আধিকারিকরা।ধৃত জেনারুল রঘুনাথগঞ্জেরই বাসিন্দা।সূত্রের খবর, ধৃত জেনারুল শেখের বিরুদ্ধে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গরুপাচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বিএসএফ-এর একাংশের সহযোগিতায় সরকারি খাতায় কোনও রকম হিসেব না দেখিয়েই সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করত জেনারুল। সিআইডি-র দাবি, ১৮০০ গরু কিনে, তার মধ্যে ১২০০ গরুকে মৃত বা নিখোঁজ দেখিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে শনিবার সন্ধ্যায় ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
সিআইডি-র দাবি, এনামুল ও জেনারুল মিলে গরুপাচার করত। এমনকি, সীমান্তে আটক করা গরুও নিলাম থেকে কিনে পাচার করা হত।রবিবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তাকে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই যখন একদিকে জানার চেষ্টা করছে বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে কীভাবে বাংলাদেশে গরু পাচার হত ঠিক তখন গরু পাচার মামলার কয়েকটি বিষয় নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের সিআইডি। সেই তদন্তের সূত্রে ইতিমধ্যে রঘুনাথগঞ্জ এবং সুতির বেশ কয়েকটি এলাকাতে ঘুরে গিয়েছে সিআইডির দল। সূএের খবর, সিআইডি আধিকারিকরা সুতি এবং রঘুনাথগঞ্জের কয়েকটি গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন। তাঁদের উত্তরের সন্তুষ্ট না হওয়াতে ফের মালদহে সিআইডির দপ্তরে ডেকে একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমাতে গরুর খোঁয়াড়গুলোতে কত গরু এনে রাখা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার মালদহের সিআইডি দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল রঘুনাথগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বড়শিমুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বেলিয়ারা বিবির স্বামী সাহাবুল শেখকে।
তিনি জানান, ‘২০১৮ সালে আমরা যখন পঞ্চায়েত দখল করি সেই সময়ে এই পঞ্চায়েতের খোঁয়াড়ে কোনও গরু ছিল না। ২০১৯-২০ সালে টেন্ডার হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে জেনারুল শেখ নামে এক ব্যক্তি খোঁয়াড় চালানোর দায়িত্ব পান। পঞ্চায়েতের অর্থ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর টেন্ডার করার পর জেনারুলকে খোঁয়াড় চালাতে দেওয়া হয়েছিল। এতে কোথাও কোনও বেনিয়ম হয়নি।’ এরপর থেকেই জেনারুলর খোঁজ শুরু করেছিল সিআইডি।এরপরই এদিন তাকে পাকড়াও করা হয়।