প্রয়াত দ্যা স্টেটসম্যান সংবাদপত্রের বিশিষ্ট সাংবাদিক সোমা মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সাংবাদিক মহলে। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “স্টেটসম্যান এবং প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির সদস্য সোমা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর কথা জানতে পেরে আমি দুঃখিত। আমি তাঁর পরিবারের সদস্য এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”

জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হত তাঁকে। এই প্রবীণ সাংবাদিকের দেহে থাবা বসিয়েছিল কর্কট রোগও। ‘যোদ্ধা’ সোমা মুখোপাধ্যায় বরাবর ব্রেকিং নিউজের জন্য যে কোনও চ্যালেঞ্জ হাসি মুখে গ্রহণ করেছিলেন। ঠিক তেমনভাবেই রোগের কাছেও হেরে যাওয়ার মনোভাব দেখাননি তিনি। চিকিৎসকদের সাহায্যে লড়াই করছিলেন এই রোগের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মূলত,সোমা মুখোপাধ্যায়ের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু লালবাজার বিট দিয়ে। ধীরে ধীরে কলকাতার অন্যতম দুঁদে ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। পুলিশ থেকে পুরসভা, নির্ভীক সাংবাদিকতার ছাপ ছেড়ে গিয়েছেন তিনি।

সোমা মুখোপাধ্যায় দ্য স্টেটসম্যান সংবাদপত্রে যোগ দেন ১৯৯০ সালের শেষের দিকে। মৃত্যুকালে সেখানেই কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন রিপোর্টিং বিভাগের দায়িত্বে। ১৯৯০- এ তিনি পেয়েছিলেন ‘‌দ্য স্টেটসম্যান রুরাল রিপোর্টিং’‌ পুরস্কার।

একটি ইংরেজি দৈনিকের রেসিডেন্ট এডিটর তরুণ গোস্বামী জানিয়েছেন, আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী সোমা নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে ‘দি স্টেটসম্যান’ এ রিপোর্টিংয়ে যোগ দেন। ‘দি স্টেটসম্যান রুরাল রিপোর্টিং’য়ে পুরস্কার পান। একসময় সোমা পুলিশের খবর করতেন। তখন কলকাতা পুলিশে ৩৬ টা থানা ছিল। সোমা প্রতিটি থানার অফিসার ইন ইনচার্জকে চিনতেন। পরে মহাকরণের খবর করত, সেখানেও অনেককে চিনতেন। খুব পরিশ্রমী সাংবাদিক ছিলেন। যখন সোমা কাজ করতে শুরু করেন তখন মোবাইল ফোন ছিল না, সাংবাদিকদের ওয়াটস্যাপ গ্রুপ ছিল না, রিপোর্টারকে হাজির হতে হত সোর্সের কাছে। পরিশ্রমী বলে সোমা পৌঁছে যেতেন এবং খবর নিয়ে আসতেন। আজ ছোট ছোট বহু স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে।

 

আরো পড়ুন:Mamata Banerjee:কোনো ফাইল সই করার আগে সতর্ক থাকার নির্দেশ মমতার!