তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর জেলায় শাসক দলের অভিভাবকের জায়গায় এক শূন্যতা তৈরি হয়েছে।বর্তমানে গরু পাচার মামলায় ১০ দিন সিবিআই হেফাজতে রয়েছে কেষ্ট।এমন পরিস্থিতিতে এখানে দল কীভাবে চলবে?সেই নিয়েই আলোচনায় বসেছিল তৃণমূল।রবিবাসরীয় সেই বৈঠকে দেখা গেল সামনের একটি চেয়ার ফাঁকা।অর্থাৎ ফাঁকা অনুব্রত মণ্ডলের চেয়ারটি।অনুব্রত যে চেয়ারটিতে বসতেন, বাকিদের চেয়ে সেটা আলাদা।সামান্য উঁচু ওই চেয়ারে দুধসাদা তোয়ালে জড়ানো।মাথার ওপর ফ্রেমে আটকানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সামনে টেবিলের উপর জলের বোতল, কিছু কাগজপত্র ছড়িয়ে আছে।সেই ঘরে বসেই জেলা তৃণমূল বৈঠক করল।

জানা যায় রবিবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,বোলপুর সাংসদ অসিত মাল,রামপুরহাট বিধায়ক,ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়,সিউড়ির বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী,বোলপুর বিধায়ক,ক্ষুদ্র,কুটির শিল্প ও বস্ত্রমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা,লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত্‍ সিংহ,ময়ূরেশ্বরের বিধায়ক অভিজিত্‍ সিনহা,হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায় এবং বর্ধমানের কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহেনাওয়াজ।দলের জেলা সহ সভাপতি তথা দলের মুখপত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বৈঠক পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য,তিন দশক ধরে বোলপুরের জেলা তৃণমূলকে নিজের হাতের মধ্যে রেখেছেন। অসুস্থ হয়ে গৃহবন্দি থাকলেও জেলায় নিজের উপস্থিতি বজায় রেখে গেছেন তিনি। কিন্তু এর আগে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি বোলপুরের জেলা তৃণমূলকে।এদিনের বৈঠক নিয়ে কেউ কোনও মুখ না খুললেও হাবেভাবে বোঝা গেছে যে, এক বড় ফাঁক তৈরি হয়েছে।সেই ফাঁক পূরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন জেলা নেতৃত্ব।

 

আরো পড়ুন:Anubrata Mondal:জেরার মুখে বারবার তারা মায়ের আশীর্বাদী ফুল ছুঁইয়ে আবার পকেটে রেখে দিচ্ছেন,অনুব্রত মণ্ডল!