অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যে বরাবরই আস্তিক, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একাধিকবার তারাপীঠে গিয়ে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।এবার সেই একই প্রমাণ পাওয়া গেলো ইডির জেরার মুখে।
সিবিআই সূত্রে খবর, হাসপাতাল থেকে ফেরার পর থেকে নিজাম প্যালেসে ১৪ তলার গেস্ট হাউসে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। সন্ধেয় অনুব্রতকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে ৪৯টি দলিল পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি হাতে রয়েছে তদন্তকারীদের। ওই নথি দেখিয়ে আয়ের উত্স সম্পর্কে জানতে চান আধিকারিকরা। অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর ক্যানসারে মৃত্যু হয়। বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন স্ত্রীর চিকিত্সা চলে। কীভাবে স্ত্রীর চিকিত্সার বিপুল খরচ সামাল দিলেন, সে প্রশ্নও করা হয় অনুব্রতকে।
এছাড়া গরু পাচার সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করা হয় তৃণমূল নেতাকে। এনামুল হক, আব্দুল লতিফের মতো অভিযুক্তদের সঙ্গে ঠিক কীরকম যোগাযোগ ছিল তাঁর, সেকথাও জানতে চাওয়া হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেন এবং এনামুল হকের লিংক ম্যান ছিলেন অনুব্রত। সায়গলের ফোনের মাধ্যমে গরু পাচার সংক্রান্ত কথাবার্তা অনুব্রত সারতেন বলেই সূত্র মারফত জানতে পেরেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সে কারণে প্রশ্নতালিকায় এসব রাখা হয়েছে।
তবে জানা গেছে,বেশিরভাগ প্রশ্নেই ‘নীরব’ অনুব্রত। আর যেকটা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন, তাও তেমন সন্তোষজনক নয়। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বারবার পাঞ্জাবির পকেটে হাত দিচ্ছেন অনুব্রত। তারা মায়ের আশীর্বাদী ফুল বের করছেন। বিড়বিড় করে তারা মায়ের নাম নিচ্ছেন। তারপর কপালে ফুল ছুঁইয়ে আবার পকেটে রেখে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য,রাতে ভালোই ঘুমিয়েছেন কেষ্ট । আজ সকালে তিনি ক্যাম্প খাট থেকে কোনও রকমে উঠে বসেন।তারপর দু’হাত জোর করে উপরের দিকে তাকিয়ে মা কালীর বন্দনা করতে দেখা যায় অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal)।আউড়াতে থাকেন বেশ কয়েকটি মন্ত্র । মায়ের কাছে কি শক্তি চাইলেন গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত দাপুটে তৃণমূল নেতা তা অবশ্য জানা যায়নি। বেশ কয়েকবার মন্ত্র পাঠ করে চুপ করে ক্যাম্প ঘাটে বসে থাকেন তিনি।এরপর প্রাতঃরাশে তাঁকে এক কাপ লাল চা এবং মাত্র দু’টি সুগার ফ্রি বিস্কুট দেওয়া হয়।নিজাম প্যালেস সূত্রে খবর, আজ বেলা বারোটার পর থেকে আবারও অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা শুরু করবেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
আরো পড়ুন:Anubrata : মেডিক্যাল টেস্টের জন্য আলিপুর সেনা হাসপাতালে অনুব্রত