বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে দীঘায়(Digha) দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে চলতি সপ্তাহে যেসব পর্যটক দীঘায় ঘুরতে গেছেন তাদের সতর্ক করেছে প্রশাসন। কিন্তু সে সর্তকতা কে তোয়াক্কা না করেই দীঘার সমুদ্রে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে গেলেন কলকাতার এক বাসিন্দা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের জেরে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই সর্তকতা জারি করেছে প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে প্রশাসনের তরফে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস এবং পূর্ণিমার কোটালের জলের তোড়ের আশঙ্কা করে প্রচার চালানো হচ্ছে। দীঘা(Digha) প্রশাসনের তরফে রবিবার সকাল থেকেই মাইকিং শুরু হয়ে গেছে। এমনকি দিঘা পুলিশ ও মৎস্য দফতরের তরফ থেকে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু এত প্রচার চালিয়ে শেষ রক্ষা করা গেল না। দীঘায় বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রের জলে তলিয়ে গেলেন এক পর্যটক।
জানা যাচ্ছে মৃতের নাম কল্যাণ দাস। তার বয়স ৪৮ বছর। রবিবার দিন সকালে তিনি ওল্ড দিঘা সি হক গোলার ঘাটে সঙ্গী সাথীদের নিয়ে সমুদ্রসৈকতে(Digha) আসেন। সমুদ্র থেকে দূরে একটি গার্ডওয়াল এর উপরে বসে ছিলেন কল্যাণের সমস্ত বন্ধুরা। কিন্তু দীঘা প্রশাসনের তরফে সমুদ্রে নামতে একেবারে বারণ করা হলেও কল্যান একাই সমুদ্রে স্নান করতে নেমে যান।
কল্যাণের পরিবারের সদস্যদের দাবি কিছুক্ষণ অব্দি তাকে বিশাল বিশাল ঢুকে স্নান করতে দেখা গেলেও কিছুটা সময় পর তাকে আর দেখতে পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে বেশি দূর এগোনোর আগেই ভয়ঙ্কর স্রোতে তলিয়ে যান কল্যান। সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারের লোকজন এবং বন্ধুরা মিলে আঞ্চলিক থানায় খবর দেন। এমনকি তাকে খুঁজতে সমুদ্রে নুলিয়াও নামানো হয়। অবশেষে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে জল থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।