শুক্রবার সকালে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় (Partha) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। আর তারপর শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়। গতকালই তাকে পেশ করা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে ।
সন্ধ্যে সাড়ে সাত টা নাগাদ আদালত থেকে বেরিয়ে আসার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে এসে দাঁড়ায় পার্থর গাড়ি। তাকে ভর্তি করা হয় জেনারেল এমার্জেন্সি বিভাগে।
এরপর গতকাল রাতেই তাকে স্থানান্তরিত করা হয় কার্ডিওলজির আইসিইউ ১৮ নম্বর বেড থেকে তিন তলায় এসি ১ কেবিনে । আপাতত তাঁর স্বাস্থ্যের ওপর নজরদারির দায়িত্ব ৬ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিমের।
গতকাল তাকে (Partha) গ্রেফতার করার পর এসএসকেএমই রাত কেটেছে তাঁর। সকালের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা।
যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ক্ষুব্ধ ইডি। তাঁরা দ্বারস্থ হন আদালতের।
এর আগে বিভিন্ন দুর্নীতি কাণ্ডে যে সমস্ত তৃণমূল হেভিওয়েটদের নাম জড়িয়েছে তাদেরকে সিবিআই কিংবা ই ডি তলব করার পরেই তাঁরা সোজা গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে ।
সেই তালিকায় অনুব্রত মণ্ডল সহ মদন মিত্রও রয়েছেন। অন্যদিকে জানা গিয়েছে যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই আধিকারিকরা গতকাল রাতে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন ।
কারণ নিম্ন আদালতের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট তাঁরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিত্সা রাজ্যের কম্যান্ড হাসপাতালে হোক এমনটাই চেয়েছিলেন তাঁরা।
অন্যদিকে গতকালই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে ইডি এবং অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে আবেদন জানাতে শোনা যায় যে গ্রেফতারের পর
ক্রমশ খারাপ হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শারীরিক অবস্থা , ভেঙে পড়ছেন তিনি। তাই তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে যেন নজর দেওয়া হয়।