২১ জুলাই মিটতেই এবার ইডির (ED) নজরে রাজ্যের দুই মন্ত্রী। এছাড়াও রাজ্যের ১৩ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। নজরে রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্যরাও।তল্লাশি অভিযান চলছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বাড়িতেও।এ বিষয়ে কড়া ভাষায় শাসক দলকে আক্রমণ করেন এবার বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakrabarty)।

 

তিনি বলেন,-“ইডির দেখার ছিল এটা অনেক আগে থেকে। যারা অপরাধ করেছে তারা ধরা পড়বে। জেলের ভাত খেতেই হবে।” এরপরই তিনি যোগ করেন,-“কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, দার্জিলিংয়ের তাহলে কিসের ডিল হলো?বোঝা গেল মুখ্যমন্ত্রী তো ভোটদানে বিরত থেকে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপিকে সাহায্য করল। তার বিনিময় মূল্য কি শুধুমাত্র ভাইপোর নাম কয়লার পাচারে চার্জশিটে বাদ শুধু এটুকুই? পিসি কি শুধুই পিসি ভাইপোকে নিয়ে ভাবছেন?দলের বাকি নেতা-মন্ত্রীর কি হলো তাতে কিছু এসে যায় না?”এরপর তিনি আরো বলেন,-“অপরাধ যারা করেছে তাদের জেলের ভাত খেতেই হবে।”

 

উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার একুশে জুলাইয়ের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,-“সিপিএমের আমলে চাকরি হয়েছিল? একটা চাকরিতে ১০ লক্ষ,১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করেছিল। সিপিএমের একটা কাগজ আছে।সিপিএমের বউরা চাকরি করত।আর ছেলেরা পার্টি করত”।এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই কথাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন না, তিনি বলেন,”মুখ্যমন্ত্রীর গতকালের ভাষণ শহীদ সংক্রান্ত ব্যাপার বলেননি।উনি রাজনীতির গল্প করে গেছেন। আর তাতে বোঝা গেছে উনি যে ধরা পড়ছেন সেইটা ওনার চোখে মুখে স্পষ্ট।গত ১১ বছরে তৃণমূল সরকার এসেছে।১০,১৫ লক্ষ টাকার চাকরি বিক্রির গল্প এর আগে শুনিনি।হটাৎ ১১ বছর পর মনে পড়ল কেনো? চিরকুট তো সব বেরিয়ে পড়ছে তৃণমূল নেতাদের। মুখ্যমন্ত্রী কে চ্যালেঞ্জ করছি এত দুঃখ করবেন না।আপনি অনেক কমিশন করেছেন, আরও কমিশন করুন।সেই কমিশনের চেয়ারম্যান আপনি নিজেই হন।১ মাস সময় নিন।এরপর,আপনি কতটা অসত্য সেটা নিজেই প্রমাণ করুন।”