এবার অন্তঃসত্ত্বা অবিবাহিত মহিলার গর্ভপাতে সম্মতি দিল শীর্ষ আদালত (supreme court)। জানা যায়,২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিতে গিয়েই এই বদল।
মূলত সম্মতিপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে বিয়ে ছাড়াই গর্ভধারণ করেন আবেদনকারী মহিলা। গত ১৬ জুলাই গর্ভপাত করতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট সাফ জানায়, অবিবাহিতা মহিলার ক্ষেত্রে ২০ সপ্তাহের বেশি অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্ভপাতের বিধান নেই আইনে। ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলা গর্ভপাত করালে তা ভ্রূণহত্যার সামিল হবে, এই দোহাই দিয়ে তাঁর আবেদন নাকচ করে দেয় উচ্চ আদালত।
কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের এই রায়ের প্রায় ১৮০ ডিগ্রি উল্টো অবস্থান নিল বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, সূর্য কান্ত এবং এএস বোপান্নার একটি বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানায়, শুধুমাত্র বিবাহিত না হওয়ার জন্য ওই মহিলাকে গর্ভপাত করার অনুমতি না দেওয়া অন্যায়। আদালত আরও জানিয়েছে, ২০২১ সালে সংশোধিত মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অ্যাক্টে ‘স্বামী’র বদলে ‘সঙ্গী’ শব্দটি ঢোকানো হয়েছে, যা থেকে স্পষ্ট, শুধুমাত্র বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে বিষয়টি আটকে রাখার ইচ্ছা আইনসভার ছিল না। ‘সঙ্গী’ শব্দের ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে এই আইনে অবিবাহিতা মহিলাদেরও সংবিধানসম্মতভাবে গর্ভপাতের সুবিধা দেওয়াই আইনসভার উদ্দেশ্য, জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
মহিলার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য এইমসের প্রধানকে দুই চিকিত্সকের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গর্ভপাতের ফলে আবেদনকারিনীর জীবনের ঝুঁকি আছে কিনা, তা শুক্রবারের মধ্যে পরীক্ষা করে এক সপ্তাহের ভিতর রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে বিচারপতিদের ওই বেঞ্চ।
উল্লেখ্য,বর্তমান সময়ে প্রগতিশীল চিন্তাধারা থেকে আইনে বৈধতা ছাড়াই অনেকে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং পরবর্তীকালে সম্পর্কে কোনো সমস্যা হলে বেরিয়ে আসেন। সেক্ষেত্র সম্পর্কে থাকা নারীদের অনেক ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাদের জন্য এই রায় দৃষ্টান্তমূলক বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরো পড়ুন:Dinesh Gunawardena:শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দীনেশ গুণবর্ধন!