ফুলের কথা আসলেই সবার প্রথমে আমাদের মাথায় যে নামটা আসে সেটা হল গাঁদা ফুল । গোলাপ যেমন দেখতে সুন্দর তেমনিও গাঁদা ফুলের গুণাবলী অনেক। বর্তমান যুগে মানুষ নিজের সৌন্দর্য বাড়াতে নানারকম কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করে। কিন্তু এই সমস্ত রাসায়সনিকযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করে সৌন্দর্যচর্চায় ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানে। এর একটা উদাহরণ হল গাঁদা ফুলের প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চায় গোলাপ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আজকে জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে গোলাপের ব্যবহার।

 

গাঁদা ফুলের( Marigold)পাঁপড়ি ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার আর এটি ত্বকের বলিরেখা দূরে রাখে এবং ত্বকের ফুসকুড়ি রোধ করে।এবার দই আর চন্দন পাউডার এই ফুলের পাপড়ি থেঁতোর সাথে মিশিয়ে ক্রিমি আকার ধারণ করে নিন । এবার এই ক্রিমি পেস্ট মাস্ক আমারে আপনার ত্বকের চোখ আর ঠোঁটের অংশ বাদ দিয়ে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

 

যদি কারও মুখে ব্রণ থেকে থাকে গাঁদা ফুল তার অ্যান্টি-সেপ্টিক, অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল প্রপারটির মাধ্যমে তাও সারিয়ে তোলে। কয়েকটি ফুলের পাপড়ির সাথে গুঁড়ো দুধ, টক দই, মধু ও গাজর একসাথে পেস্ট করে নিন। এই প্যাক ত্বকের ডালনেস দূর করে। ব্রণে জর্জরিত পাঠকেরা সপ্তাহে ২ দিন করে এই প্যাক ব্যবহার করুন।

 

গাঁদাফুল ( Marigold)ত্বকের জন্য খুবই উপকারী প্রথমবার ব্যবহার করার পর থেকেই এর প্রভাব দেখাতে শুরু করে। ত্বকের সাথে জড়িত সকল ধরনের ইনফেকশন ও ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।গাঁদা ফুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার ফুলের পাপড়ি গুলো আলাদা করে একটু জলে সাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পাতলা পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। দিয়ে অনেক দিন এটা রেখেও দিতে পারেন।

Image source-google