ক্যানিংয়ে (Canning) নিহত তিন নেতা-কর্মীর পরিবারের সঙ্গে তৃণমূল প্রতিনিধি দল সাক্ষাত্‍ করে,তাদের ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করেন।জানা যায় এদিন তৃণমূল প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরনিগমের চেয়ারম্যান ও সাংসদ মালা রায়, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ প্রতিমা মন্ডল, সংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, মন্ত্রী দিলীপ মন্ডল, বিধায়ক শওকত মোল্লা, বিধায়ক পরেশরাম দাস, বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস, জেলা সভাপতি যগোর‌ঞ্জন হালদার, বিধায়ক সুব্রত মন্ডল, বিধায়ক বিভাস সরদার প্রমুখ।

 

আর্থিক সাহায্য দানের পর সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে মালা রায় এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করে বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। কিছু ধান্দাবাজ দলও যোগ দিয়েছে এই ঘটনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা শান্তির বাংলা গড়ার চেষ্টা করছি। তৃণমূল এসব বরদাস্ত করবে না। ৪ লক্ষ টাকা করে তিনটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্ব পরিবারগুলির পাশে আছে।’

 

সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। কড়া শাস্তি হবে দুষ্কৃতীদের। জনবিচ্ছিন্ন ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। উত্তরপ্রদেশ নয় এটা। ন্যায়বিচার পাবে পরিবার। পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছে না বলে কাউকে কাউকে কাজে লাগিয়ে এসব করছে বিজেপি। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’

 

বিধায়ক শওকত মোল্লাও বিজেপিকে দুষে বলেন, ‘প্রথম দিন যা বলেছি আজও তাই বলছি। বিজেপি আশ্রিত সমাজবিরোধীরা এ কাজ করেছে। শুভেন্দু অধিকারীরা যেভাবে বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাট বানানোর চেষ্টা করছে, তা হবে না। মাটির তলায় গা ঢাকা দিলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানাই।’

 

মূলত একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে এসে গত বৃহস্পতিবার খুন হয়ে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য স্বপন মাজি। সেদিন তাঁর সঙ্গেই খুন হন স্থানীয় বুথের দুই তৃণমূল সভাপতি ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামাণিকও।শনিবার সেই নিহত ৩ তৃণমূল কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্যের শাসক দল।