প্রত্যেকটা মেয়ের কাছে চুল হচ্ছে তার সম্পদ। কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুল উঠে যাওয়া যেন অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। আজকার নিজের চুলের সৌন্দর্য তুলে ধরতে আমরা বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। কিন্তু এ সমস্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে ব্যবহার করুন ঘরোয়া উপায়। যেমন কিছু ঘরোয়া উপায়ে নিয়ম মেনে ব্যবহার করলেই চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ব্যবহার করুন।

 

 

চুল অর ঝরে ঝরে (Hair loss)পড়ার থেকে রোধ করুন। চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার করুন জবা ফুলের পাতা। দুই থেকে তিনটি জবা ফুলের পাতা, অ্যালোভেরা জেল এবং দুটো জবা ফুল ব্লেন্ডারে পেস্ট করে একটা স্মুথ পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। চুলের স্ক্যাল্পে ভালো করে এই হেয়ার প্যাক টি লাগান। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করুন চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

 

 

মেথি ( Fenugreek)চুলের খুশকি দূর করতেও অনেক সাহায্য করে।খুশকির কারণেও অনেক সময় চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। ২-৩ চা চামচ মেথি ১ কাপ পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সামান্য পানিসহ মেথি ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিয়ে সাথে ১ চামচ মত চ টক দই মিশিয়ে নিন। প্যাকটি মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিয়ে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। খুশকি সব দূর হয়ে যাবে।

 

 

ফলের মধ্যে( Fruit)আমলকীতে(Amla ) আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা কোলাজেন প্রোটিন উৎপাদন করে। কোলাজেন স্ক্যাল্পের ডেড স্কিন সেলসকে সরিয়ে ফেলে ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়।আমলকির রস মাথার ত্বক এবং চুলে লাগাতে পারেন। প্রথমে আমলকির রস নিয়ে মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগিয়ে আঙুলের সাহায্যে দশ মিনিট মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এরপর আধঘণ্টা রেখে তারপর হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে ভালভাবে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই-তিন বার এটি করতে পারেন। খুশকির সমস্যা কমে যাবে।

 

চা পাতা( Black tea)গরম জলে দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা করে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সেটি হাতে একটু চটকে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট মতো। তারপর ধুয়ে নিন সাধারণ জলে। শ্যাম্পু না করলেও হবে। ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। এটি সপ্তাহে দু’বার করুন।এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুলের ফলিকল মজবুত করে। ফলে চুল পড়া (Hair loss)অনেক কমে যায়।

 

Image source-google