আবার নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।সূত্রের খবর দেউচা পাঁচামির প্রস্তাবিত প্রথম কয়লা প্রকল্পে জমিদাতা পরিবার থেকে ২৬০ জনকে জুনিয়র কনস্টেবল পদের নিয়োগপত্র দেওয়া হল।মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো কয়লাখনি চালুর আগেই নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে খুশি জমিদাতাদের পরিবারগুলি।
জানা যায় শুক্রবার বিকেলে সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জমিদাতা পরিবার পিছু সবার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, ক্ষুদ্র কুটির ও বস্ত্রমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক তথা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, বিধায়ক অভিজিত্ সিনহা, জেলাশাসক বিধান রায় জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, অতিরিক্ত জেলাশাসক কৌশিক সিনহা ও ডিএসপিডিএনটি অয়ন সাধু প্রমুখ।
উল্লেখ্য এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা প্রকল্প দেউচা পাঁচামি।বীরভূমের মহম্মদবাজারে প্রস্তাবিত এই প্রকল্প ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একাধিক এলাকা থেকে বিরোধিতা প্রদর্শিত হয়। জমিদাতাদের ভুল বোঝানোর জন্য আদিবাসীরা নানারকম মহাসভা গঠন করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। কিন্তু গত বছর নভেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বিধানসভায় দাঁড়িয়ে একটি মানবিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। যাতে দাবি করা হয়েছিল, যাঁরা এই প্রকল্পের জন্য স্বেচ্ছায় জমি দান করবেন, তাদের পরিবারের মধ্যে থেকে মনোনীত সদস্যকেই জুনিয়র কনস্টেবল পদে প্রাথমিক ভাবে চাকরি দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, যোগ্য ভিত্তিতে আরও উচ্চপদেও নিয়োগ করা হতে পারে।এই শর্ত মেনেই যে আড়াই হাজার জমিদাতা জমি দিতে রাজি হয়েছেন, তাঁদের সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর এদিন জেলাপুলিশের পক্ষ থেকে ২৬০ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হল।
জেলাপুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, এই নবনিযুক্তরা হলেন প্রথম সিপাহী, যাঁদের আগামী রবিবার থেকেই বারাকপুরে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যাবে। প্রশিক্ষণ শেষে তিন-চার মাস পর তাঁরা বিভিন্ন জেলায় জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি করবেন।