বলা হয়ে থাকে ভারতীয় চুল সোনার চেয়েও দামি। কেন? এর রহস্যটি একমাত্র ভারতীয় নারীরাই জানেন। কোন নারী চায় না সুন্দর লম্বা আর ঘন চুল! কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুল রুক্ষ শুষ্ক আর নির্জীব হয়ে যেন অভ্যাস দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই পেতে পারেন ঝলমলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল(healthy hair)।

সাধারণ ও সহজ উপায়ে খুব সহজে এবং দ্রুত চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল(healthy hair) আর ঝলমলে দেখানো সম্ভব।

স্নানের পরে আমরা তোয়ালের সাহায্যে চুল ভালোভাবে মুছে থাকি যেন চুল জলদি শুকিয়ে যায়। তবে এরফলে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। হেয়ার স্টাইলিস্টরা বলেন, “ভেজা চুল শুকানোর জন্য মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখা ঠিক নয়। এতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়।”

চুল বিশেষজ্ঞরা বলেন, “উজ্জ্বল দেখাতে চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না চুল মসৃণ হয়। এরপর চুলে ভালো কোনো সিরাম ব্যবহার করলে চুল আরও ঝলমলে দেখাবে।”

তবে স্প্রে না করে হাতের তালুতে সিরাম নিয়ে সেটি পুরো চুলে মাখিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন চুল বিশেষজ্ঞরা।

সঠিক ব্রাশের সাহায্যে নিয়মিত চুল আঁচড়ালে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। প্রাকৃতিক লোমের তৈরি ব্রিসলসের চিরুনির সাহায্যে চুল আঁচড়ালে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। চুল বিশেষজ্ঞদের মতে, “ব্রাশের ব্রিসলস চুলের কিউটিকলস নমনীয় করতে সাহায্য করে। ফলে আলোর প্রতিফলন ভালোভাবে হয় ও চুল উজ্জ্বল(healthy hair) দেখায়।”

চুল বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, “প্রতিদিনের চুল আঁচড়ানো শেষ হলে আরও কয়েক মিনিট বেশি সময় নিয়ে চুল আঁচড়ানো যেতে পারে। আরও কিছুক্ষণ একটি গোলাকার ব্রাশ দিয়ে চুল আঁচড়ালে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।”

চুল বিশেষজ্ঞরা বলেন, “সোজা চুলের উপরিভাগ মসৃণ হওয়ায় সহজে আলো প্রতিফলিত হয়, আর তাই চুল বেশি উজ্জ্বল মনে হয়। তবে কোকড়া চুলে আলোর প্রতিফলন কম হয়। এজন্য কোকড়া চুল উজ্জ্বল দেখাতে বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।” তাই কোঁকড়া চুল শুকানোর পরে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এমন স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

Image source: google