ত্রিপুরা (Tripura) উপনির্বাচনে ফের গেরুয়া ঝড়। সেই অর্থে মোটেও ভালো ফল হয়নি তৃণমূলের। চার কেন্দ্রেই চতুর্থ।এবার ত্রিপুরার ফল নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি রওনা হওয়ার আগেই দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে ত্রিপুরার ফলাফল সংক্রান্ত প্রশ্নের একের পর এক জবাব দেব তিনি।
অভিষেক বলেন, ”মানুষ যা রায় দিয়েছে তা আমরা মাথা পেতে নিয়েছি।কিন্তু ভোটের দিন গুন্ডামি, লুটপাট ও ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। আপনাদের ক্যামেরায় ভুয়ো ভোটার ধরা পড়েছে, বুথে এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি, প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছেন।”তিনি আরও বলেন, ”গণতন্ত্রে গণদেবতাই আসল, মানুষ যা রায় দিয়েছে তা আমরা মাথা পেতে নেব।”
এর পাশাপাশি তিনি এই ফলাফলেও লড়াই থামিয়ে না দেওয়ার এদিন বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যাঁরা তৃণমূলে কংগ্রেসে ভোট দিয়েছেন বা দেননি তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করতে আগামিদিনে বদ্ধপরিকর। যতদিন না ত্রিপুরায় (Tripura) গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে ততদিন তৃণমূল একচুল জমি ছাড়বে না। যে মানসিকতা নিয়ে আমরা লড়াই শুরু করেছিলাম সেই মানসিকতা নিয়েই আগামিদিনে আপনার স্বার্থে লড়ব।”
ত্রিপুরায় (Tripura) জমি শক্ত করতে কোনরকম ত্রুটি রাখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুলের ঝড় তুলতে পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটিতে বারংবার ছুটে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের একাধিক নেতা, নেত্রীদের ত্রিপুরায় পরপর কর্মীসভাও কোনরকম ছাপ ফেলতে পারেনি ভোট বাক্সে।তবে এরপরও চারটি আসন মিলিয়ে ৪২০৯টি ভোট পেয়েছে তৃণমূল। যা কোনওভাবেই প্রত্যাশিত ছিল না। বরং সুরমা কেন্দ্রে ভাল ফলের আশা করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সবকটি আসনেই চার নম্বরে শেষ করে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
আরো পড়ুন:Abhishek Banerjee:২১ শে জুলায়ের নামে চাঁদা তুললে বহিষ্কার, হুঁশিয়ারি অভিষেকের!