মঙ্গলবার বিশ্বের প্রায় ১৭৭টি দেশ যখন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করছে,তখন এক অন্য চিত্র দেখা গেলো মালদ্বীপে (Maldives)।ঠিক কি ঘটেছিল?জানা যায় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে মালদ্বীপের (Maldives) রাজধানী মালেতে ভারত সরকারের তরফে যোগ ব্যায়েমের আয়োজন করা হয়।মালের একটি জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।কিন্তু আচমকাই বেশ কিছু বিক্ষোভকারী হাজির হয় সেখানে।

 

পতাকা, পোস্টার নিয়ে হইহই করতে করতে স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়েন প্রচুর মানুষ। যোগাভ্যাস বন্ধ করতে হবে, এই দাবিতে তুমুল উত্তেজনা শুরু হয় সেখানে। ভারতীয় কূটনীতিকদের রীতিমতো হুমকির মুখে পড়তে হয়। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলেও তাতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। বন্ধ করে দিতে হয় অনুষ্ঠান।ক্ষিপ্ত বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস এবং পেপার স্প্রে করে অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।

 

মূলত বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি,মুহূর্তের মধ্যে যোগাভ্যাস বন্ধ করতে হবে।এমনকি তাদের মন্তব্য ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে তারা বলেছেন,যোগ হল শিরক।শিরক বলতে বোঝায়, অংশীদার করা কিংবা কারোর সহযোগী বানানো।কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে আল্লাহর সমকক্ষ কিংবা সহযোগী করাকে শিরক বলা হয়,যা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ।ট্যুইটারে ইসলামপন্থীদের এই অভ্যাস অনুসরণ না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।এছাড়াও হিন্দু গুরুদের বেশ কয়েকটি ক্লিপ ট্যুইটারে পোস্ট করা হয়েছে যাতে প্রমাণ করা হয়,কীভাবে যোগ ইসলাম এবং আল্লাহর বিরুদ্ধে।আর এই বিষয়টি কেন্দ্র করে বহু কট্টরপন্থীদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তাল এখন মালদ্বীপের পরিস্থিতি।

 

আরো পড়ুন:Narendra Modi:’সমগ্র বিশ্বে শান্তির পরিবেশ তৈরি করবে যোগব্যায়াম’:প্রধানমন্ত্রী