বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শনিবার সকালেই রওনা দিতে চেয়েছিলেন হাওড়ায়।কিন্তু হটাৎই নিউটাউনের বাড়ি থেকে বেড়ানোর সময় আটকে দেই পুলিশ।অবশেষে সেই বাঁধা অতিক্রম করেও হাওড়ায় উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিতে সফল হলেন না তিনি।তার আগেই বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজার কাছে বিজেপি সাংসদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঠিক কি ঘটেছিল? জানা যায়, নবী অবমাননার বিরুদ্ধে গ্রামীণ হাওড়াজুড়ে তাণ্ডব চলেছে দু’দিন ধরে। শনিবারও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছে।তাই শনিবার সকালেই তিনি রওনা দিতে চেয়েছিলেন হাওড়ায়।কিন্তু হটাৎই নিউটাউনের বাড়ি থেকে বেড়ানোর সময় আটকে দেই পুলিশ।ইকো পার্ক থানার তরফে জানানো হয়, সুকান্ত মজুমদার কোথায় যাচ্ছেন, তা মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে । এ নিয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকদের সঙ্গে বচসাও হয় রাজ্য বিজেপি সভাপতির।পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ ধস্তাধস্তির পর এদিন দুপুরে নিউটাউনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা হাওড়ার দিকে রওনা দেন সুকান্ত৷কিন্তু রাস্তায় তাঁর কনভয় দফায় দফায় বাঁধার মুখে পড়ে৷ প্রথমে এসএসকেএমের কাছে তাঁর কনভয়কে বাঁধা দেওয়া হয়৷ বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে হাঁটা দেন সুকান্ত৷ কিছুক্ষণ বাদে তাঁর গাড়িও সেতুর দিকে চলে আসে৷ তখন গাড়িতে উঠে আবার গন্তব্যের দিকে রওনা দেন৷ তাঁর গাড়ি টোল প্লাজার কাছে পৌঁছতেই আবার পুলিশ বাধা দেয়৷ পুলিশ তাঁকে জানায়, টোল প্লাজার ওপারে ১৪৪ ধারা জারি আছে৷ এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন৷
সেই সময়ে সুকান্ত গাড়ি থেকে নেমে পুলিশকে বলেন, ‘আমায় আটকাচ্ছেন কেন?গ্রেফতার করে নিন। এর পরেই টোলপ্লাজার সামনে থেকে সুকান্ত মজুমদার-সহ বাকিদের গ্রেফতার করে হাওড়া পুলিশ।এরপরই প্রিজনভ্যানে তাঁকে নিয়ে আসা হয় লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে।এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের আটকানোর জন্য পুলিশ যে তত্পরতা দেখাচ্ছে এই তত্পরতা যদি দু’দিন আগে পুলিশ করতো তাহলে মানুষকে ভুগতে হতো না।
আরো পড়ুন:Twaha Siddiqui:অশান্তি সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানালেন ত্বহা সিদ্দিকী