বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারি ট্রেন হিসাবে মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস এবং মিতালি এক্সপ্রেস দুই দেশের যোগাযোগের পথ আরো সহজ করে তুলেছে। সম্প্রতি মৈত্রী এক্সপ্রেসে(Maitree Express) একলাফে অনেকটাই বাড়লো যাত্রী সংখ্যা।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় দু’বছর ধরে ভারত-বাংলাদেশ সংযোগকারী যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ২০২০ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখ থেকে অতিমারির কারণে মৈত্রী(Maitree Express) ও বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপর চলতি বছরের ২৯ মে থেকে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস আবার চালু করা হয়। এর ফলে দুই দেশের যাত্রীরাই উপকৃত হয়েছেন।
গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিতালী এক্সপ্রেস এর উদ্বোধন করেন। সেই মিতালী এক্সপ্রেসের বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের জুন মাস থেকে। দুই দেশের বহু যাত্রী রেলপথের আরামদায়ক যাত্রাকে বেছে নিয়েছেন ফলে ফের চালু হবার এক সপ্তাহের মধ্যেই মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীসংখ্যা একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
অতিমারির পর ফের চালু হওয়ার প্রথম দিনে মৈত্রী এক্সপ্রেস(Maitree Express) মাত্র ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। আর এখন সেই যাত্রীসংখ্যা একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০ জনে। অন্যদিকে বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হওয়ার প্রথম দিনেই কলকাতা থেকে খুলনার দিকে মাত্র ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিল। এখন বন্ধন এক্সপ্রেস এর যাত্রী সংখ্যা প্রায় ৮০ জন।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ইতিমধ্যেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের জন্য প্রায় ১০৭ জনের টিকিট বিক্রি হয়েছে। সোম, বুধ এবং শুক্রবার কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস রওনা দেয়। অপরদিকে রবিবার এবং বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বন্ধন এক্সপ্রেস। দুটি এক্সপ্রেসেরই প্রায় ৪৫০ এর বেশি আসন রয়েছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ মনে করছে দিন যত এগোবে যাত্রীসংখ্যা এই দুই এক্সপ্রেসেই আরো বাড়তে থাকবে।