‘ফিটনেস ট্রেনিং সেন্টার’ খোলার উদ্যোগ নিলেন (Madan Mitra) কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। দলীয় কর্মীদের ফিট রাখার জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।
পুরুলিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ অগ্রবালকে স্বাস্থ্য সচেতন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর খাওয়া-দাওয়াও অত্যন্ত পরিমিত। তিনি নিয়মিত হাঁটাচলা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ফিটনেস’ পরামর্শকে অগ্রিধাকার দিয়েছেন মদন মিত্র।
মদন মিত্র বলেন, ”আমি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ অনুসারে সমস্ত তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের জন্য একটি ফিটনেস সেন্টার খোলার পরিকল্পনা করছি।”
মদন মিত্র (Madan Mitra) বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমাদের কপালভাতি করতে হবে কারণ আমাদের কপাল খুব খারাপ।
সেখানে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ বসে রয়েছেন। তাই কপালভাতি করলেই আমাদের কপাল একমাত্র ভালো থাকতে পারে।”
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত সুরেশ অগরওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনার ভুঁড়ি যেভাবে বাড়ছে যে
কোনওদিন ব্লক করে যাবে। হাঁটাচলা করছেন না!” মুখ্যমন্ত্রীর কথার পাল্টা জবাবে সুরেশ বাবু বলেন, “আমার সুগার, প্রেসার নেই!”
মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, ” লিভারের কিছু সমস্যা তো রয়েইছে। না হলে এত বড় মধ্যপ্রদেশ কী করে হল!”
উত্তরে তৃণমূল নেতা বলেন তিনি কোনও ওষুধ খান না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের প্রশ্ন করেন, “হাঁটাহাঁটি করেন!”
উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ব্যায়াম করেন এবং দিনে এক হাজারবার কপালভাতি করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী চমকে উঠে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “এখনই হাজারবার কপালভাতি করে দেখাতে পারলে আপনাকে দশ হাজার টাকা দেব।”
তিনি আরও বলেন, “অসম্ভব! হাজারবার কপালভাতি করলে এই রকম ভুড়ি থাকত না।” তারপরই তিনি ওই নেতাকে ফিট থাকার পরামর্শ দেন।