বর্তমানে সৌন্দর্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।আমরা নিজেদের সৌন্দর্য বজায় রাখতে কিনা করি।কখনো পার্লারে যাই কিংবা কখনো দামি দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি।আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য শুধুমাত্র বাহ্যিক প্রসাধনীর উপরেই নির্ভর করে না। কারণ বাহ্যিক প্রসাধনী আমরা যতক্ষণই ব্যবহার করব ততক্ষণ আমাদের সৌন্দর্য বজায় থাকবে। কিন্তু এ সমস্ত কেমিকাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে এবার ব্যবহার করুন ঘরোয়া উপায়। ঘরোয়া উপায় পেয়ে যান উজ্জ্বল এবং সুন্দর ত্বক(Beautiful skin) ।
কমলালেবুর খোসা( Orange peel)গুড়ো করে তার সাথে এক চামচ দই এবং এক চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে মুখে ফেসপ্যাক(Face pack) হিসাবে লাগান। পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট রাখার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন সপ্তাহে তিন দিন ব্যাবহার করলেই আপনার মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে।
আলুতে থাকে প্রাকৃতিক ব্লিচ এজেন্ট, যা ত্বকের দাগ-ছোপ কমায়। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে খুব বেশি সময় লাগে না।আলু ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। ফলে চেহারার হারিয়ে যাওয়া জেল্লা দ্রুত ফিরে আসে। একইসঙ্গে আলুর রস ব্রণ দূর করে। যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক, তারা নিয়মিত আলু ফেসপ্যাক ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।আলুর রস, চালের গুঁড়া, দুধ ও আধা চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে অন্তত ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। দেন হালকা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন।
কাঠবাদামের ( Almond)ভিটামিন ই ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে বেশ কার্যকরী। ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার হিসেবে কাজ করে কাঠবাদামের দুধ। কাঠবাদাম বেটে নিয়ে চিপে এর দুধ বের করা যায় সহজেই। এই দুধ সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ, সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়
ত্বককে উজ্জ্বল এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লবঙ্গ তেল(Clove Oil) মুখে লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন।কয়েক ফোঁটা লবঙ্গের তেলের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করুন। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এবং হারানোর জেল্লা(Beautiful skin) ফিরিয়ে আনবে।
রোদে পোড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা(Beautiful skin) ফিরিয়ে আনতে হলুদের তৈরি ফেসপ্যাকগুলো দ্রুত কাজ করে। কাঁচা হলুদ বাটা, কাঁচা দুধ অথবা টকদই একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে এবং ১৫ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেললে ত্বকের কালচে ভাব দূর হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
Image source-google