এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেশে করোনার গ্রাফ আবারো ঊর্ধ্বমুখী। ফলে করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)।

বৈঠকে প্রত্যেকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী(Narendra Modi)। নতুন করে করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ নিয়ে মোদি বলেন, ‘ওমিক্রন এবং এর নয়া রূপগুলি ইউরোপে কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে তা গোটা বিশ্ব দেখেছে। ভারতে তুলনামূলক ভাবে পরিস্থিতি সামলে নিলেও কিছু কিছু রাজ্যে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে। তাই নতুন করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। দেশের ৯৬ শতাংশ বয়স্ক মানুষকে করোনার প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে টিকাই করোনা প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে এবার পড়ুয়াদের টিকাকরণের ওপরে আরো বেশি জোর দিতে হবে। তার কথায়, ‘আমাদের দেশে দীর্ঘ দিন পরে স্কুল খুলেছে। কিন্তু, তার মধ্যেই করোনার সংক্রমণ বাড়াতে অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন স্কুলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবরও সামনে এসেছে। কিন্তু পড়ুয়াদেরও টিকাকরণের কাজ অনেক এগিয়েছে। তবে পড়ুয়াদের টিকাকরণের কাজ আরও দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। তবেই পরিস্থিতি সামলানো আরও সহজ হবে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সময় দৈনিক সংক্রমণ তিন লাখ ছাড়িয়েছিল। কিন্তু সেই সময়েও প্রতিটি রাজ্য খুব ভালো ভাবে পরিস্থিতি সামলেছে। ভবিষ্যতেও একই কৌশল মেনে কাজ করতে হবে। তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।’

এপ্রিলের মাঝামাঝি আচমকাই করোনা সংক্রমণ অনেকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি রাজ্যকে আগাম সতর্ক করতেই এই ভার্চুয়াল বৈঠকটি আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানোর কথাও বলেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘করোনা পরীক্ষার পর আক্রান্ত ব্যক্তিদের জিনের গঠনসজ্জা জানা গুরুত্বপূর্ণ। করোনার নয়া রূপগুলিকে চিহ্নিত করতে এই পদক্ষেপ করা খুবই প্রয়োজনীয়। আগের পরিস্থিতির তুলনায় হাসপাতালগুলিতে শয্যাসংখ্যা এবং অক্সিজেন মজুতের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু যাতে রোগীদের কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিয়ে বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।’

পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি মজবুত করতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। কেন্দ্র-রাজ্যের তাল মেল আগের থেকেও আর ভাল হওয়া প্রয়োজন। করোনা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর ফলে সাপ্লাই চেন প্রভাবিত হয়েছে। তাই পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়েছে।’