পাকিস্তানের (Pakistan) আস্থা ভোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হল ইমরান খানকে। এদিন সরকারের বিপক্ষে ১৭৪টি ভোট পড়েছে।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরাই এবার সরকার গড়বে। সেই সরকার শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে গঠিত হবে বলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এদিন রাত ১২টার মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে বলে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল।
সময় হলেও ইমরান খান সরকার আস্থা ভোট করেনি। যার ফলে ইমরান খান, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের গ্রেফতারের দাবি ওঠে।
সরকার পক্ষের নেতা-মন্ত্রী-আমলারা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সেজন্য পাকিস্তানের সমস্ত বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করে সেদেশের ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।
এদিন আস্থা ভোট হওয়ার আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার আসাদ কাইসার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরী পদত্যাগ করেন।
বিরোধী দলের নেতা শাহবাজ শরিফ হতে চলেছেন পাকিস্তানের (Pakistan) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। রবিবার দুপুর ২টোয় সম্ভবত আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম প্রধানমন্ত্রী পদে ঘোষণা হবে।
ইমরান খানদের প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল যে নির্বাচিত সরকারকে ফেলতে বিদেশি শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। ফলে পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষা করতে কোনওভাবেই আস্থা ভোট করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সেনার সমর্থনেই ভোটে জিতে সরকার গড়েন ইমরান খান। তবে সম্প্রতি তাঁর জোটসঙ্গীরা তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। ফলশ্রুতি, আস্থা ভোটে হেরে শেষ অবধি বিদায় নিতে হল ইমরান খানকে।