ইন্ডিয়া এডুকেশন সামিট(India Education Summit) ২০২২ এ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান(Dharmendra Pradhan)। সে সামিট(India Education Summit) উপলক্ষে তিনি বলেন আগামী কুড়ি বছরে যারা দেশের ভবিষ্যৎ গড়বে গত দু’বছরে করোনা মহামারির জন্য তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই তাদের সবরকম সাহায্য প্রাপ্য।
গত দু’বছরে করোনা আমাদের জীবন শুধু পাল্টেই দেয়নি বরং সমাজের অন্যতম মূল ভিত শিক্ষা ব্যবস্থারও যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক মহল সকলেই। ইন্ডিয়া এডুকেশন সামিট(India Education Summit) ২০২২ এ এসে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান(Dharmendra Pradhan) শিক্ষার্থীদের জন্য বার্তা দেন। তিনি বলেন শিক্ষার্থীদের শুধুই চাকরি করা উদ্দেশ্যে নয় বরং নিজেদের পরিচিতি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে লক্ষ্য সব সময় উঁচুতে রাখতে হবে। সাধারণ কর্মচারী নয়, তার বদলে নিয়োগকর্তার ভূমিকা বেছে নিতে হবে শিক্ষার্থীদের।
শহর বা গ্রাম যে কোন এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের দিনগুলি গড়ার জন্য জোর দিতে হবে এবং তাদের দক্ষতা আরও বিকাশ করতে সহায়তা করতে হবে। তিনি বলেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নয়া উদ্যোগ প্রয়োজন। বিজ্ঞান বা কৌশল বিদায়ী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ পারলে তবেই দেশ আরও এগোবে। অর্থাৎ এককথায় বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী সমাধান দরকার।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী কথায় দুই বছর টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর শিক্ষাবিষয়ক সতর্কতার প্রয়োজন এবং নিষ্ঠার সাথে পড়াশোনা করার দরকার। ভারতের শিক্ষা সমাজকে আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করে তুলতে হবে। দেশের ৩৫ কোটি ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার অধিকারী, সে প্রযুক্তিই হোক কিংবা বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটি।
তিনি আরো বলেন, দেশ জুড়ে বিভিন্ন ভাষা বিভিন্ন সংস্কৃতি। তবে কেবলমাত্র ভাষার কারণে যেন কোনো ছাত্র পিছিয়ে না থাকে। কারণ শিক্ষার্থীদের দক্ষতা কোন নির্দিষ্ট ভাষার কারণে আবদ্ধ থাকতে পারে না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন একমাত্র ভারতেই ইংরেজি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। অন্যান্য দেশগুলিতে নিজেদের মাতৃভাষাকেই তারা শিরোধার্য বলে মনে করেন।