চন্দনের( sandalwood)ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। চন্দনের আছে হাজারো ঔষুধি গুনাগুন। রূপ চর্চার জন্য চন্দনের খ্যাতি যুগ যুগ ধরে।চন্দনে আসছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া যা ব্রণও কমাতে সাহায্য করে। চন্দনগাছের কাঠ শুকিয়ে গুঁড়া করে পাওয়া যায় চন্দনগুঁড়া যা ত্বক পরিষ্কার করে , উজ্জ্বল করে আর রোদে পোড়া ভাব দূর করা, ত্বককে সজীব করে তোলা ছাড়াও অসংখ্য গুণ আছে এই উপকরণটির। আজ জেনে নিন চন্দনে কিছু গুণাবলী।

 

 

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কসমেটিকসের চন্দনের ব্যবহার করা হয়।রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বিশেষ উপকারী । আমাদের সবাইকেই কোনো-না-কোনোভাবে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়। যার ফলে রোদে পুড়ে যায় আমাদের ত্বক।চন্দনের তেলে আলফা স্যানটালোল নামক একটি উপাদান থাকে যা মেলানিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। চন্দন গুঁড়োর সাথে দই এবং গোলাপজল মিক্স করে পেষ্ট মুখে লাগান পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। চন্দন মুখের পোড়া দাগ দূর করে মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে।

 

 

অনেক সময়ে সময়ের আগেই আমাদের মুখে বলিরেখা দেখা যায়। চন্দন( sandalwood) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তাই চন্দনের গুঁড়ো, ডিমের সাদা অংশ আর মধু মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন মুখে। ত্বক টানটান ও ঝলমলে থাকবে।

 

ব্রণ প্রতিরোধে চন্দন( sandalwood)এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে ।চন্দনের তেল অ্যান্টিসেপটিক তত্ত্ব থাকে বলেই তা ব্রণ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যালার্জি বা চুলকানি নিয়ন্ত্রণেও এর ব্যবহার হয়। সামান্য হলুদ, কর্পূর আর চন্দন মিক্স করে মুখে সারা রাত লাগিয়ে রাখলে ব্ল্যাকহেড আর ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

 

 

 

ডার্ক সার্কের কমাতেও চন্দনের জুড়ি মেলা ভার। চন্দন গুঁড়োর সাথে একটু গোলাপজল মিক্স করে চোখের নিচে লাগান। সারারাত রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিমেষেই এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কজাল দাগ দূর হোয়ে যাবে।

Image source-google