গত ৮ দিনে লাগাতার সাতবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি পথদুর্ঘটনা কমানোর জন্য গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যিক এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে সকল গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকবে না সেগুলি রাস্তায় নামানো যাবে না এবং রাস্তায় নামলেও সেই গাড়িগুলোকে দেখলে জরিমানা করা হবে। ফলে লাগাতার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির জেরে এবং হাজার হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বাসের সিএফ সার্টিফিকেট না করাতে পেরে এবার থেকে অধিকাংশ রুটের বাস(Bus) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ।

বাস মালিকদের বক্তব্য কোন বাসের(Bus) জন্য বর্তমান বাজারে কয়েক হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে সিইএফ করাতে রাজি নয় তারা। সাথে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি তো আছেই। ফলে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে মুকুন্দপুর থেকে হাওড়া ২৪এ/১ রুটের সমস্ত বাস। পাশাপাশি প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার মুখে বাঘাযতীন থেকে হাওড়া ১৭ রুটের বাস এবং ঠাকুর পুকুর থেকে যাদবপুর সহ একাধিক রুটের বাস।

বাস মালিকদের একাংশের বক্তব্য যে হারে তেলের দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে তাতে বাসের(Bus) ভাড়া বাড়িয়েও বিশেষ লাভ হচ্ছে না। পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন যে সমস্ত গাড়ির সিএফ ফেল হয়ে গিয়েছে তারা জরিমানা দেওয়া থেকে বাঁচতে এককালীন দেড় হাজার টাকা দিয়ে আবার গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট করিয়ে নিতে পারেন। পরিবহন মন্ত্রী এই কথা বললেও কোনো সরকারি বিজ্ঞপ্তি এ বিষয়ে প্রকাশ হয়নি।

মোটর ভেহিকেলস দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী কোন গাড়ির সিএফ যেদিন থেকে ফল হয় পরদিন থেকেই জরিমানা ধার্য করা হবে সেই গাড়িতে। প্রতিদিন সেই জরিমানা ৫০ টাকা করে বাড়বে বলে জানানো হয়েছিল। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে কোন গাড়ি সিএফ যদি চার বছর আগে শেষ করানো হয়ে থাকে এবং তার সমস্ত জরিমানা যদি মুকুব করা না হয়ে থাকে, তাহলে সেই গাড়িটিকে নতুন করে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি টাকা জরিমানা হিসাবে দিতে হবে। বর্তমান মূল্য বৃদ্ধির বাজারে এত টাকা জরিমানা দিতে রাজি নয় কোন বাসমালিক। ফলে একের পর এক রুটের বাসগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।