ইতি মধ্যেই গরমকাল চলে এসেছে। আর গরমকালে মানুষের মূল সমস্যা হল অতিরিক্ত ঘাম ।গরমে অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে ঘাম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যখন তখন বিনা পরিশ্রমে বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঘাম হওয়াটা মোটেই স্বাভাবিক ব্যাপার নয়।বেশি ঘাম ত্বককে চকচকে ও তৈলাক্ত করে তোলে। অতিরিক্ত ঘাম হওয়াকে (Sweat) ডাক্তারি ভাষায় হাইপারহিডরোসিস বা মাত্রাতিরিক্ত ঘাম (Sweat) বলা হয়। আজকে জেনে নিন অতিরিক্ত ঘাম হলে কি করবেন।
ঘাম হলে মুখে বার বার ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। এমনটা করলে ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ঘাম হওয়া বন্ধ হবে। ঠান্ডা জল মুখে ঠান্ডা ও সতেজ রাখে।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে এমনই মুখ তেলতেলে হয়ে থাকে। যার জন্য ঘাম হলে মুখের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তার উপরে যদি তৈলাক্ত ক্রিম মুখ লাগান তাহলে ত্বকের এই পণ্য ছিদ্রকে ব্লক করে দিতে পারে এবং ময়লা তৈরি করতে পারে। তাই এমন ভুল কাজ কিন্তু একেবারেই করবেন না।
বরফ ঘাম (Sweat)কমাতে খুব কার্যকরী।পরিষ্কার একটা কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে নিয়ে সেই কাপড় বেঁধে নিয়ে মুখের উপর কিছুক্ষণ ঘসুন । বরফ ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ করে দেয় । ফলে ঘাম আর হবে না।
যাঁদের ঘাম (Sweat)বেশি হয় তাঁরা সূতির পোশাক পরার চেষ্টা করুন আর রোদে বেরোলে অবশ্যই হালকা পোশাক যাতে হাওয়া চলাচল ভালো হয়। হালকা রঙের জামা পরুন। এতে ঘাম কম হয়।
প্রচুর পরিমাণে জল খান। জল শরীর ঠান্ডা রাখে..এছাড়াও অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করতে মেথি ভেজানো পানি খেতে পারেন।এক চা চামচ মেথি এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন,এবং পরদিন সকালে উঠে সেই পানিটুকু ছেঁকে খালি পেটে পান করুন। এতে অতিরিক্ত ঘামসহ আরও অনেক সমস্যা দূর হবে।
Image source-google
আরও পড়ুন dandruff: খুশকি দূর করার কিছু প্রাকৃতিক উপায়