এবার “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” চলচ্চিত্রটি দেখার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari)।রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা বিধানসভার অন্তর্গত বাসুদেবপুরে বসন্ত উত্সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই অনুষ্ঠান থেকেই তিনি হিন্দুদের জাগ্রত হওয়ার বার্তা দেন। তিনি সকলকে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ চলচ্চিত্রটি দেখার বার্তা দিয়ে বলেন যে, “রাজ্যে একাধিক জায়গায় সনাতনীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। পারলে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে আসুন। ৩০ বছর আগে কাশ্মীরে হিন্দুদের উপর কী অত্যাচার করা হয়েছে, সেটা দেখে আসবেন। ৩০ বছর পরে যাতে হিন্দুদের সেই অবস্থা না হয়, তার জন্য বিশ্ব হিন্দুকে একজোট হতে হবে।”
এই অনুষ্ঠান থেকেই শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) অভিযোগ করেন যে, রাজ্যের একাধিক জায়গায় সনাতনীদের আক্রমণ হচ্ছে। আর এই অভিযোগ তুলেই তিনি হিন্দুদের এক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন,”এ রাজ্যে হিন্দুরা বিপন্ন। হিন্দু জাগরণের সময় এসেছে। দেশকে আফগানিস্তান হতে দেবেন না। টাকা করলেন, সোনা-দানা, ভালো বাড়ি বানালেন। কিন্তু, দেশ না থাকলে কী করবেন সম্পত্তি নিয়ে। না হলে ইউক্রেনের মতো অবস্থা হবে। দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।”এখানেই শেষ নয়, তিনি রাজ্যের সনাতনী হিন্দুদের শুধুমাত্র ‘হিন্দু’ এবং ‘ভারতীয়’ বলে পরিচয় দেওয়ারও বার্তা দিয়েছেন।
উক্ত অনুষ্ঠান থেকেই শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) প্রতি হিন্দু ঘরে গীতা রাখা এবং এর সঙ্গে নাম-সংকীর্তন করারও কথা বলেন। ঘরে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা রাখার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন যে, ‘গীতা কেবল ধর্মগ্রন্থ নয়, এটি বিজ্ঞান। প্রত্যেক বাড়িতে গীতা রাখা উচিত, পড়া উচিত। গুজরাট সরকার ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গীতা পড়ানো বাধ্যতামূলক করেছে।’ বাংলাতেও এমনটা চালু হবে বলেও আশাবাদী শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari)। ওই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস, ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি প্রমুখরা।
আরো পড়ুন:Kashmir :কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যার ফাইল রি-ওপেনের দাবি