মমতা (Mamata) আহ্বান জানিয়েছেন উপনির্বাচনের প্রচারের জন্য অন্তত যাতে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে।
তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত দলকেই সংযত ভাবে প্রচার করতে হবে ছাত্রছাত্রীরা যখন পরীক্ষা দিতে যাবে, বিশেষত ২, ৪ ও ৫ এপ্রিলে।
এক বার দিন পাল্টেছে আগেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন)-এর জন্য।
এ বার রাজ্যে ফের দিন বদলাল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দুই বিধানসভা কেন্দ্রে (বালিগঞ্জ ও আসানসোল) উপনির্বাচনের কারণে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন ১২ এপ্রিল। কিন্তু তার আগে ভোটের প্রস্তুতির নানা কাজ থাকে স্কুলে। তাই ২, ৪ ও ৫ এপ্রিলের পরের পরীক্ষা ১৬ এপ্রিলে।
৬ থেকে ১৫ এপ্রিল কোনও পরীক্ষা নেই। আবার উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীন জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন)-এর পরীক্ষা রয়েছে ২১, ২৪ এবং ২৫ এপ্রিল।
তবে এ ভাবে উপনির্বাচনের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের কাছে ‘ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন’ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata)।
পরীক্ষার্থীদের এই ‘অসুবিধার’ জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছেন মমতা। প্রশ্ন উঠেছে, উচ্চ মাধ্যমিকের মধ্যেই হঠাত্ উপনির্বাচন কেন?
তিনি বলেন, ”আমাদের সরকার চিঠি লিখেছিল নির্বাচন কমিশনকে। ছ’মাসের মধ্যে ভোট যদি করতেই হয়, তা হলে পাঁচ রাজ্যের সঙ্গেই করে নিতে পারত।
দফায় দফায় বিজেপির কথায় নির্বাচন করছে! ওই সময়ে অন্নপূর্ণা পুজো, পয়লা বৈশাখ, অম্বেডকর জয়ন্তী আছে। নিজেদের ইচ্ছেমতো তারিখ দিয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “উপনির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করবে। তারা স্কুলে থাকবে। আবার স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের সিটও পড়বে। এই বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের।”
তবে উপনির্বাচনের প্রচারের জন্য অন্তত যাতে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা।
পরীক্ষার দিনগুলির আগের রাতের রাজনৈতিক সভা একটু তাড়াতাড়ি শেষ করা যায় কি না, তা-ও দেখতে হবে বলে জানান তিনি।
উপনির্বাচনের গণনার দিন অবশ্য পরীক্ষার মধ্যে পড়লে, অসুবিধা হওয়ার কথা নয় বলেই মনে করেন মমতা।
তাঁর কথায়, ”গণনা তো দু’তিনটি পোলিং সেন্টারে হয়। যে স্কুলে পরীক্ষা, সেখানে গণনা করবে না। দূরে করবে।”