রাশিয়া-ইউক্রেন(Russia-Ukraine) এ হামলা করার পর থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে গোটা বিশ্ব। এমনকি রাশিয়ার নাগরিকরাও রাশিয়ার(Russia) এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়েছে। রুশ আগ্রাসনের সমালোচনা করে ও যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ার সরব হয়েছেন অনেকেই। তাই প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করতে এবার রাশিয়ায় নিষিদ্ধ করা হল টুইটার(Twitter) ও ফেসবুক(Facebook) সহ একাধিক সংবাদ মাধ্যম।
ফেসবুক এবং টুইটার নিষিদ্ধ করে দেওয়ার নতুন আইনে বলা রয়েছে মস্কো যেসব খবরকে ভুয়ো বলে মনে করবে সেই খবরের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হবে এবং সেই ব্যক্তির সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এহেন নিষেধাজ্ঞা এই প্রথম না। এর আগেও রাশিয়া(Russia) বিবিসি, ভয়েস অফ আমেরিকা, লাটভিয়া ভিত্তিক ওয়েবসাইট মেডুসা সহ বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশকারী বিদেশী আউটলেটগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আর এইবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো ফেসবুক টুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর উপরে।
নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারণ হিসাবে রুশ প্রশাসন দাবি করেছে যুদ্ধ নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ গুলিতে পরমাণু হামলা নিয়ে ভুয়ো খবর রটানো হচ্ছে, যার ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হচ্ছে বিশ্ববাসীর। তাই এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া(Russia)। ক্রেমলিন নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের পাস করেছে এই নতুন বিলটি।
রুশ প্রশাসনের দেওয়া যুক্তির বিপক্ষে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাদের দাবি ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার নাগরিকরা সোশ্যাল মিডিয়ার সোচ্চার হয়েছেন। তাই তাদের কণ্ঠরোধ করতে রাশিয়ার এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি মস্কোর কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে বিভিন্ন ওয়েবসাইট খুলছে না রাশিয়ায়। আবার কিছু গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাতে লেখালেখি না করা হয় সেই জন্যই এই পদক্ষেপ।