১০০ দিনের কাজে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ,জব সুপারভাইজার কে তৃণমূল নেতার হুমকি ফোন,কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে। মাস্টার রোলের কাগজ কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে এই নিয়ে তৃণমূলের জব সুপারভাইজারের রায়ত জায়গায় দখল নিল তৃণমূল নেতারা। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জাড়া গ্রামের।

জানা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার জাড়া গ্রামের জব সুপারভাইজার পম্পা চন্দ্র এমনই দুই তৃণমূলের গোষ্ঠী দন্ধের শিকার। সুপারভাইজার কে ফোনে হুমকি মাস্টার রোলের কাগজ না দিলে তারা রায়ত জায়গা দখল নিবে, এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে ঐ সুপারভাইজার এ অভিযোগ।

যদিও তৃণমূল নেতার ফোনের কল রেকর্ড প্রকাশ্যে। কল রেকর্ডিং হুমকি দেওয়া কথা মত কাজ হল, জব সুপারভাইজারের রায়ত জায়গাতে দখল নিল তৃণমূলেরই এক গোষ্ঠীর লোক।

যদিও অপর গোষ্ঠী তথা জাড়া এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি অভিজিৎ রায়ের দাবি, তাদেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠী লোক উমা শঙ্কর চৌধুরী জব সুপারভাইজারকে হুমকি দিয়েছে, তার কারণ জব সুপারভাইজার মাস্টার রোলের কাগজটি আমাকে এনে দিয়েছে,এমনকি হুমকি থেকে জায়গা দখল কোন কিছু বাদ দেওয়া হয়নি। আর তৃণমূলের নেতা শঙ্কর চৌধুরী কার্যকলাপের আমরা সমস্ত বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব দিকে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন : High Court: গ্রেফতারী এড়ানোর রক্ষাকবচ পেতে হাইকোর্টের দারস্থ অনুব্রত মন্ডল

অপর গোষ্ঠী চন্দ্রকোনার বিধায়ক ঘনিষ্ঠ — ব্লক তৃণমূলের নেতা শংকর চৌধুরীর বলেন” বিধানসভা নির্বাচনের সময় ওই তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির হয়ে কাজ করেছে , বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক কে হারানোর চেষ্টা করেছিলেন আর তারাই এখন জব সুপারভাইজারের কাজ করছে, তারাই ১০০ দিনের কাজের দেখভাল করছে এটা আমাদের তৃণমূল কর্মীরা মেনে নিতে পারেনি, এই নিয়েই দেখা দিয়েছে দ্বন্দ্ব। আর যোদি জায়গা দখলের কথা বলেন ওরা আগে থেকেই বলেছিল পার্টি অফিস করার জন্য জায়গা দেবে তাই ওই জায়গায় পার্টি অফিস হবে।

যদিও এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সূর্যকান্ত দোলই বলেন “পুরো বিষয়টি তারা শুনেছেন, দলগতভাবে এই বিষয়ে তারা আলোচনাও করবেন।এমন কি ১০০ দিনের কাজে কোন রাজনৈতিক দল হস্তক্ষেপ করতে পারে না সেটিও তিনি স্বীকার করেছেন।

চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন “সরকারি প্রকল্প ১০০ দিনের কাজে প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেখভাল করে, জবস সুপার এর মাধ্যমে। কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এই কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। পুরো বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখবেন এমনকি প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরেই চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সূর্যকান্ত দোলই ও চন্দ্রকোনা তৃণমূল বিধায়ক অরূপ ধাড়ার গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মত বিরোধ ছিল, এই ঘটনার পরে প্রকাশ্যে আসলো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এখন দেখার জব সুপারভাইজার কবে তার জায়গা ফেরত পায় ও ১০০ দিনের কাজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হয়।

By Sk Rahul

Senior Editor of Newz24hours