টালা, পাইকপাড়া থেকে বাগবাজার এলাকা, সবই কলকাতা পুরসভার(Kolkata Corporation) এক নম্বর বরোর অধীনে। এখানেই রয়েছে সারদা মায়ের বাড়ি।
মায়ের বাড়ির পাশে রয়েছে ঘাট। তার পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে চক্ররেলের লাইন।
সেখান থেকে কিছুটি এগোলেই পৌঁছে যাওয়া যায় নাট্যকার গিরিশ ঘোষের বাড়িতে। এই এলাকার অলিতে গলিতে এখনও লেগে আছে অতীতের কলকাতার ছাপ।
২০১৫-র নির্বাচনে এই বরোতে তৃণমূল ৮টি ও বিজেপি ১টি আসনে জিতেছিল। ওই বরোতে কোনও আসন পায়নি বাম ও কংগ্রেস।
এরপর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ৯ টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল। কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর বরোর অধীনে রয়েছে ৯ টি ওয়ার্ড।
২০২১ পুরসভা ভোটের আগে সি ভোটার(C Voter) সমীক্ষার পূর্বাভাস অনুযায়ী ১ নম্বর বরো-তে তৃণমূল ৮ টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে।
বিজেপি এই বরোতে পেতে পারে ১টি আসন।
এই বরোতে ঝুলি একেবারেই শূন্য থাকতে পারে বাম, কংগ্রেসের।
সি ভোটারের সমীক্ষা অনুসারে সম্ভাব্য ভোটের হার তৃণমূল 48%, বিজেপি 24%, বাম 9% এবং কংগ্রেস 4% এবং অন্যান্য 15%।
উল্লেখ্য, সামনের রবিবার আগামী ১৯শে ডিসেম্বরই কলকাতা পুরসভার(Kolkata Corporation) ভোট।
একুশের বিধানসভা নির্বাচন, বিধানসভা উপনির্বাচনের পর আরেক হাই ভোল্টেজ ভোট-যুদ্ধ আসতে চলেছে।
কিন্তু তার আগে সি ভোটার কলকাতার ভোটাররা কী ভাবছেন?
সেই আভাস পেতেই সোমবার বরো ভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়েছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার।
সি ভোটারের(C Voter) পদ্ধতি সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, নানা বিষয়ে সমীক্ষা চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে এই সি ভোটারের ঝুলিতে।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন C VOTER-এর সমীক্ষকরা।
মোট ৮ হাজার ৩৪১ জনের সঙ্গে কথা বলে এই সমীক্ষা করেছে তারা।
CATI পদ্ধতির মাধ্যমে সমীক্ষা চালানো হয়েছে।এই সমীক্ষার ক্ষেত্রে মার্জিন অফ এরর +- ৩ থেকে ৫ শতাংশ হয়ে থাকে বলে দাবী তাদের।