দেউচা পাচামি(Deucha Pachami) এলাকায় কৃষকদের থেকে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সিঙ্গুরের মতো বলপ্রয়োগ করা হবে না। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই কথাই বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তারপর সেখানের আদিবাসীদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাতে প্রথমে মোড়লরা অরাজি হলেও এখন তাঁদের মধ্যে অনেকেই খনি হোক চান। নিতে চান সরকারি ক্ষতিপূরণও।
এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে আজ দেউচা পাচামি(Deucha Pachami) এলাকায় পরিদর্শনে যান সিপিআইএম প্রাক্তন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।
আর সেখানে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বলে অভিযোগ জানান তিনি।
এই কালো পতাকা–সহ বিক্ষোভ দেখে পিছু হটতে হয় সুজনবাবুদের।
এরপর এই বিষয়ে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘সাধারণ মানুষ কী চাইছেন, এই প্রকল্প তারা আদৌ চাইছেন কি না,
তাঁদের এতে কোনও ক্ষতি হবে কি না, এই সব খতিয়ে দেখতেই আমরা আজ এখানে এসেছিলাম।
কেন আমরা সেইসব দেখতে যেতে পারব না! দেউচা পাচামি(Deucha Pachami) প্রকল্প কি কেবল তৃণমূলের একার নাকি!
এটা তো রাজ্য সরকারের(State Government) প্রকল্প রাজ্যের মানুষের জন্য।
আমরা এখানে ঢোকার আগেই কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেয় তৃণমূলের লোকজন।
তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) এত ভয় কিসের? আমরা তো আমাদেরই লোকের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি এখানে।’
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের মতে দেউচা পাচামি প্রকল্প চালু হলে ওই এলাকা রাতারাতি আসানসোল–রানিগঞ্জের মতো এক বিরাট শিল্প অঞ্চল এলাকায় পরিণত হতে পারে।
মানুষের হাতে কাজ আসবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। কাজ করে তাঁরা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ওই এলাকার গোটা ভৌগোলিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে যেতে পারে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনির সন্ধান পাওয়ার সুবাদে বীরভূমের দেউচা পাচামি কোল ব্লক এখন সংবাদের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন – কপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সঞ্জয় রাওয়াত