ত্রিপুরায় পুরভোটের (Vote) আগেরদিন রাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গন্ডগোলের খবর আসতে শুরু করেছিল। বিরোধী দলের একাধিক প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরার শাসকদলের বিরুদ্ধে।
কোথাও বিরোধীদের পতাকা-ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়, আবার কোথাও বিরোধী দলগুলির এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ ওঠে।
বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিপুরায় পুরভোট (Vote) শুরু হওয়ার পর গন্ডগোলের মাত্রা যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।
আমবাসার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে হামলার হামলার অভিযোগ উঠেছে ভোটের দিন।
আক্রান্ত হয়েছেন আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীও।
বামেদের তরফে তারা অভিযোগ জানিয়েছে, বিলোনিয়াতে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপির গেরুয়া শিবির। তিনটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বামেদের তরফে।
আগরতলা পুরনিগমের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
তাঁকে ইতিমধ্যেই জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই সব ঘটনায় অভিযোগের তির গেছে বিজেপির দিকে।
যদিও স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
আগরতলার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী লিটন দাসকেও মারধরেরে অভিযোগ উঠেছে ভোটের(Vote) দিন সকালে।
আমবাসার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী স্বপ্না পালের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
বুধবার রাতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হুমকি দিয়ে এসেছে বাইক বাহিনী।
ত্রিপুরা ভোট যে নির্বিঘ্নে মিটে যাবে না, সেই আঁচ আগেই পেয়েছিল নির্বাচন কমিশন(Election commission)।
তাই পুরভোটের একদিন আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ২০টি থানার ৬৪৪টি বুথের মধ্যে ৩৭০টি বুথকে অতিসংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করে কমিশন। সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত হয় ২৭৪টি বুথকে।
পাশাপাশি আগরতলার সবক’টি বুথই সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আগরতলা হাইকোর্টের(Agartala High Court) নির্দেশে সেনসিবিলিটি ম্যাপিংয়ের পরই এই ঘোষণা করে কমিশন।