বাজেট বিতর্কে অন্যতম বক্তা বিরোধী দলনেতা (Subhendu) শুভেন্দু অধিকারী।
বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বলতে বলতে শুভেন্দু হঠাত্ বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সাহসিকতাকে আমি কুর্নিশ জানাই।’
বিরোধী দলনেতা আসলে রাজ্য সরকারের আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে শাসক পক্ষকে চিমটি কাটতেই অমন মন্তব্য করেছেন।
এদিন বিধানসভায় রাজ্য বাজেটের ওপরে আলোচনায় শুভেন্দু রাজ্য কোষাগার যে শূন্য, তা তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
তিনি (Subhendu) বলেন, একটা বিষয় আপনারাও দেখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে কেউ বলছেন আমার এলাকায়
একটা ব্রিজ চাই, আমার এলাকায় হাসপাতাল চাই, আমার এলাকায় রাস্তা চাই। যে যা চান মুখ্যমন্ত্রী শোনার পরেই বলেন, হবে না, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলছে।
তাই এসব হবে না। টাকা নেই। আমি এখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রীর সাহসিকতাকে আমি কুর্নিশ জানাই।
উনি সব স্বীকার করছেন। শুভেন্দুর বক্তৃতার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভায় উপস্থিত ছিলেন না।
মুখ্যমন্ত্রী আজ বিধানসভায় যাননি। আগামীকাল পুলিশ বাজেট নিয়ে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে ঠিক আছে। তিনিই রাজ্যের পুলিশ তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
এদিন বিরোধী দলনেতার ভাষণের সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
বিরোধী দলনেতা আরও বলেন সরকারের এমন অবস্থা যে একটা জেরক্স মেশিনও কেনার টাকা নেই বলছে। এক্স-রে মেসিন ইত্যাদি প্রভৃতি কিছুই কেনা যাচ্ছে না।
এদিন শুভেন্দু খোঁচা দিয়ে বলেন, উত্তর প্রদেশে জিতেছি আমরা। বলা হয়েছে ওখানে জিতে এখানে কেন আনন্দ করছি।
আচ্ছা, বাংলাটা কি দেশের বাইরে? আর আপনারা বলেছিলেন গোয়ায় সরকার গড়বেন। পেলেন তো গোল্লা। বিরোধী দলনেতা এদিন বেশ কিছু প্রস্তাব দেন সভায়।
শুভেন্দু অধিকারী স্পিকারকে বলেন, আমাদের বরাদ্দ সময় থেকে ওঁকে সময় দিন। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেট আলোচনায় বলেন, বিরোধী দলনেতা তাদের সময় থেকে নওসাদ সিদ্দিকীকে সময় দিলেন।
আমি কুর্নিশ জানাই। চন্দ্রিমা এরপর শুভেন্দু অধিকারীর ২০১৯ সালে সেচমন্ত্রী হিসাবে দেওয়া বিধানসভায় ভাষণে উল্লেখ করেন।
তাতে সেচ দফতরের বাজেট নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা তুলে ধরেছিলেন শুভেন্দু। আজ সেই বক্তব্য পড়ে শোনান চন্দ্রিমা।