প্রবল অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে বেহাল অবস্থা (Srilanka) শ্রীলঙ্কার

ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের চাপের মুখে সোমবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়লেন মহিন্দা রাজাপক্ষে।

জানা গেছে এদিন শ্রীলঙ্কার(Srilanka) রাষ্ট্রপতি গোতাবায়ার কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে।

ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে শ্রীলঙ্কাতে।

এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিরোধীদলগুলি।

এদিন সেই দাবির কাছেই মাথানত করলেন রাজাপক্ষে। যদিও তিনি আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন প্রয়োজন হলে তিনি পদত্যাগ করতে তৈরি।

সূত্রের খবর, রাজাপক্ষের ছোটভাই তথা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে তাঁকে অবিলম্বে পদত্যগের কথা জানিয়েছিলেন।

রাষ্ট্রপতি চেয়েছিলেন মহিন্দার পদত্যাগ দেশে একটি জাতীয় সরকার গঠনে সহায়ক হবে। বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে।

উল্লেখ্য, এপ্রিল থেকে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের কাছে ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা নিজেকে ‘অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া’ ঘোষণা করে।

তারপর থেকেই প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের ইস্তফার দাবি জোরদার হয়েছিল ভারতের দক্ষিণের এই দ্বীপরাষ্ট্রে।

দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি কখনও এমন চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েনি।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক ঋণ এবং সুদ মেটাতে চলতি বছরের মধ্যে অন্তত ৬৯০ কোটি ডলার (প্রায় ৫২,৪০০ কোটি টাকা) ব্যয় করার কথা শ্রীলঙ্কার।

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে জ্বালানি, কৃষিক্ষেত্রে সারের মতো একাধিক পণ্যের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মাসের পর মাস এই অবস্থার বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু করে শ্রীলঙ্কার আমজনতা।

ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হয় কলকারখানায় লক্ষ লক্ষ কর্মী, গণপরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও।